এই ভয়াবহতার মধ্যেই দেখা মিলল মানবিকতার এক অনন্য ছবি। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালেন জেলার পুলিশকর্মীরা। নিজেদের হাতে টিন ও লোহার কাঠামো দিয়ে নতুন করে বাড়ি বানিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। প্রতিদিন সকাল থেকেই জলপাইগুড়ি জেলার বেদগাড়ার মাঠে শুরু হয় পুনর্গঠনের কাজ।
advertisement
কারও ঘরের ছাদ উঠছে, কারও দেওয়াল জোড়া লাগছে। প্রশাসন, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির যৌথ প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে গ্রামটি। ত্রাণ হিসাবে দেওয়া হচ্ছে শুকনো খাবার, পোশাক, বইপত্র সবই। স্থানীয় এক বাসিন্দা চোখে জল নিয়ে বলেন, ‘সব হারিয়ে গিয়েছিল। পুলিশের সহায়তাতেই আজ মাথার উপর ছাদ ফিরে পাচ্ছি। নতুন করে বাঁচার আশা জেগেছে’।
কেউ হারিয়েছেন মেয়ের বিয়ের সঞ্চয়, কেউবা পাটের ব্যবসায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন। তবুও হাল ছাড়েননি কেউ। গ্রামে এখন কেবল ঘর তৈরিই নয়, বাঁধ নির্মাণের কাজও চলছে জোরকদমে। পাশে দাঁড়িয়েছে একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও। রাতদিন চলছে সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ধীরে ধীরে ফিরছে জীবনের ছন্দ। ধ্বংসস্তূপের মধ্যেও বেদগাড়ার মানুষের চোখে ফুটে উঠেছে এক চিলতে হাসি। যা জানান দিচ্ছে, বিপর্যয় যতই ভয়ঙ্কর হোক, মানবিকতার আলো এখনও নিভে যায়নি। সেই আলোই আজ নতুন করে জাগিয়ে তুলছে পুনর্জীবনের আশার প্রতিশ্রুতি।