অভিযোগ পেতেই প্রয়াগরাজে থানা সঙ্গে যোগাযোগ করা শুরু করেছে পুলিশ। অসহায় অবস্থায় পড়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বর্মণ পরিবার। সূত্রের খবর, অনেক দিন ধরেই মহাকুম্ভে যাবেন বলে পরিকল্পনা করেছিলেন নিতাই। সেই মতো ২৭ জানুয়ারি একাই বালুরঘাট থেকে পাড়ি দেন প্রয়াগরাজ। মৌনী অমাবস্যায় ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করবেন বলে ঠিক ছিল। ২৯ তারিখে ওখানে স্নান করে। এমনটাই পাড়ার বন্ধুকে ফোন করে জানিয়েছিল নিতাই। এরপর থেকে তাঁর সঙ্গে কোনও ভাবে যোগাযোগ করতে পারছে না বাড়ির লোকজন।
advertisement
আরও পড়ুন: তিন শাকের চচ্চড়ি, পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরনের ছড়াছড়ি! খেলেই পুরুষত্ব উঠবে তুঙ্গে
এমনকী বাড়ির লোক বহুবার ফোন করলে ফোন সুইচ অফ বলছে। এর কিছুক্ষণ পরেই কুম্ভে মহাবিপর্যয় ঘটে। ঘটনায় প্রাণ হারায় কমপক্ষে ৩০ জন। আহত শতাধিক। ঘটনার পর থেকেই আর খোঁজ নেই নিতাইয়ের।
আরও পড়ুন: শরীর দুলিয়ে শ্বশুরের সামনে ‘চোলি কে পিছে’ গানে নাচ বরের, ধরা পড়ল মারাত্মক সত্যি! তারপর?
এ বিষয়ে নিখোঁজ যুবকের মা সন্ধ্যা বর্মণ জানান, কুম্ভমেলায় বহু মানুষ হারিয়ে যাচ্ছে। মাটিতে পড়ে গিয়ে পুণ্যার্থীরা পদপিষ্ট হচ্ছে। এসব খবর টিভিতে যত দেখছেন, তত বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। ছেলেটার ওই দিনের পর থেকে আর কোনও খোঁজ পাচ্ছেন না। কোথায় গেল, কেমন আছে, কিছুই জানতে পারছেন না। তাই বালুরঘাট থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
মহাকুম্ভ মেলায় দুর্ঘটনার পর থেকে দুশ্চিন্তা বেড়েছে পরিজনদের। মাঝে তিন দিন কেটে গিয়েছে। নিতাই ফেরেননি বালুরঘাটের বাড়িতে। কোথায় আছেন, আদৌ বেঁচে আছেন কি না জানে না তাঁর পরিবার। এমতাবস্থায় চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে সকলে। এরপরেই ছেলেকে খুঁজতে পেতে অসহায় মা বালুরঘাট থানায় দারস্থ হন। অভিযোগ পাওয়ার পরই প্রয়াগরাজ থানার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখনও নিতাইয়ের কোনও খোঁজই দিতে পারেনি প্রয়াগরাজের পুলিশ।
সুস্মিতা গোস্বামী