১৯৩৬ সাল তথা ব্রিটিশ আমল থেকে মধু চা বাগানের পুজো হয়ে আসছে। সেই সময় থেকে শুরু করে এখনও এই বাগানে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়। আলিপুরদুয়ার জেলার অত্যন্ত পরিচিত চা বাগান এটি। ভেজা চোখে বাগানের পুজোর আয়োজন করে চলছেন চা বাগানের মহিলারা। প্রসাদও তাঁরাই তৈরি করেন। নারকেল, নাড়ু, খই, নকুলদানা দিয়ে পুজো সারছেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পুজোর থিমে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা! ‘ইচ্ছেডানা’ থিমে নজর কাড়ছে বর্ধমানের ১৬ লক্ষের পুজো! ছবিতে দেখুন
কেউ এই পুজো দেখতে গেলে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে এই প্রসাদ। বাগান বন্ধ রয়েছে, কিন্তু তাই বলে দুর্গাপুজো বন্ধ হয়নি। এই পুজো নিয়ে শ্রমিক মহল্লার মানুষদের মধ্যেও উন্মাদনার অভাব ছিল না। মাটির তৈরি একটি অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে উমার আরাধনা করা হত। পরবর্তীতে সেখানে কংক্রিটের স্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। পূর্বে দুর্গা প্রতিমাও বাগানেই তৈরি করা হত। তবে বর্তমানে মধু চা বাগান বন্ধ। এই পরিস্থিতিতেও পুজো বন্ধ করেননি শ্রমিক ও বাগানের বাসিন্দারা। চাঁদা না নিয়ে শুধুমাত্র সরকারি অনুদানের সাহায্যে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই বিষয়ে বাগানের এক কর্মী তথা পুজোর উদ্যোক্তা নরেশ ওরাওঁ জানান, “এখনও সেই পুরনো দিনের পুজোর স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। তবে বাগানের অচলাবস্থার কারণে পুজোর গরিমা আগের মতো না থাকলেও পুজো নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে উন্মাদনার অভাব নেই। এবার হয়তো সেভাবে নতুন জামা পরে পুজো হল না। তবে আমাদের আশা, আগামী বছর দেবী দুর্গার কৃপায় বাগান খুলে যাবে।”