দু’বছর আগে নদী ভাঙনের জেরে এক নিমেষেই পথে এসে বসতে হয়। চোখের পলকে শেষ হয়ে গিয়েছিল সর্বস্ব। চোখের সামনে নদীর গ্রাসে চলে গিয়েছিল আবাদি জমি ও বসত ভিটে। তখন থেকেই এলাকার কিছু স্থানীয় মানুষের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয়েছে তাঁদের। প্রশাসনিক আধিকারিকরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে এসে সমস্যার সমাধানের অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও মেরামত হয়নি নদী বাঁধ, পাননি পুনর্বাসন।
advertisement
আরও পড়ুন: দেবী অন্নপূর্ণার কলস যাত্রায় ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মর্জিনা বিবি, মিহির উদ্দিন মিঁয়া ও আমিনুর মিঁয়া জানান, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে কোনওরকম সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়নি। অনেকের তো জব কার্ডও নেই। আবাস যোজনার ঘরের লিস্টে নাম নেই। এই পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকাটাই কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কোচবিহারের এই অসহায় মানুষগুলো পরিষ্কার জানিয়েছেন, যে দলের প্রার্থী আগামী দিনে তাঁদের দুঃখ কষ্ট মোচনের লক্ষ্যে কাজ করবেন তাঁকেই ভোট দেবেন। এলাকার বাসিন্দারা সকলে একত্রিত হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে নির্বাচনী প্রচারে এখনও পর্যন্ত কোনও দলের প্রার্থীরই দেখা মেলেনি এই এলাকায়। অথচ ১৯ এপ্রিল এই কেন্দ্রে নির্বাচন।
সার্থক পণ্ডিত