এই পরিস্থিতিতে অতিকষ্টে পরিবার নিয়ে স্কুলের মধ্যে কোনওরকমে বসবাস করছে পরিবারগুলি। সরকারি কোনওরকম সহযোগিতা না মেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন পরিবারগুলির সদস্যরা। ফুলকুনি মণ্ডল বলেন, ২০১৬ সালের গঙ্গা ভাঙনে আমাদের বাড়িঘর ভেঙে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত পুনর্বাসন পাইনি। অনেকেই পেয়েছে তবে আমাদের দেওয়া হয়নি, তাই স্কুলেই বসবাস করছি। ভোটের আগে আমরা আমাদের পুনর্বাসনের দাবি তুলছি।
advertisement
আরও পড়ুন: আর ছুটতে হবে না দুর্গাপুরে, আসানসোলেই এবার উন্নত চিকিৎসা
পুনর্বাসনের আশা নিয়েই এই অসহায় মানুষগুলো এবারও ভোট দেবেন। প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা আসছেন তাঁদের দুয়ারে ভোট চাইতে। নতুন করে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আর বিশ্বাস হচ্ছে না দূর্গতদের। এই প্রসঙ্গে বৈষ্ণবনগরের প্রাক্তন বিধায়ক স্বাধীন সরকার বলেন, এক হাজার পরিবার বাড়িঘর সমস্ত কিছু গঙ্গা ভাঙনে হারিয়েছে। রাজ্য সরকার মাত্র ৩০০ টি পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছে। বাকি পরিবারগুলি এখনও স্কুলে। কেউ আবার খোলা আকাশের নিচে রয়েছেন।
২০২৩ সাল পর্যন্ত গঙ্গা ভাঙনে ওই এলাকার চিনা বাজার, সরকারটোলা , বিননগর সহ বিস্তীর্ণ এলাকা গঙ্গা গর্ভে বিলীন হয়েছে। বাড়িঘর জমি জায়গা সর্বস্ব হারিয়েছে প্রায় এক হাজার পরিবার। কেউ খোলা আকাশের নিচে, আবার কেউ স্থানীয় স্কুলে বসবাস শুরু করছেন। কিছু পরিবারকে সরকারিভাবে পূর্ণবাসন দেওয়া হয়েছে। তবে অধিকাংশ পরিবার এখনও কোনওরকম সাহায্য পাননি।
হরষিত সিংহ





