২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে আট হাজারের সামান্য কিছু বেশি ভোটে জিতে কোনওরকমে গনি খানের ‘গড়’ রক্ষা করেছিলেন তাঁর ভাই আবু হাসেম খান চৌধুরী। তবে এবার বর্ষীয়ান আবু হাসেম ওরফে ডালুবাবু প্রার্থী হননি। পরিবর্তে গনি খানের তালুক রক্ষার দায়িত্ব এসে পড়েছে ঈশা খানের কাঁধে। যিনি সম্পর্কে ডালুবাবুর ছেলে। অবশ্য ইশা খান এর আগে মালদহের সুজাপুর বিধানসভার বিধায়ক ছিলেন। যে বিধানসভা থেকে প্রথমবারের জন্য নির্বাচিত হয়ে রাজ্য বিধানসভায় গিয়েছিলেন গনি খান।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘দিলীপকে দেখেই রাজনীতিতে আসা’, ঘোষের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সুকান্ত
দক্ষিণ মালদহ লোকসভার অন্তর্গত বিধানসভাগুলির সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে নদী ভাঙন। গত কয়েক বছর ধরে গঙ্গা নদী যেন তার ভাঙনের তীব্রতা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে প্রতিবছর বর্ষাকালে বহু মানুষকে নতুন করে ভিটেমাটি হারাতে হচ্ছে। তাই এখানকার বাসিন্দারা চাইছেন, সবার আগে ভাঙন বিপর্যস্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক। সেই সঙ্গে গঙ্গা নদীর ভাঙন ঠেকাতে সামগ্রিক পরিকল্পনা করে গোটা এলাকা জুড়ে কংক্রিটের বাঁধ দেওয়ার দাবিও তুলেছেন অনেকে।
এই নদী ভাঙন ইস্যুতে একে অপরকে নিশানা করে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছেন। কংগ্রেস, তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রে এবার জমজমাট ত্রিমুখী লড়াই দেখা যাচ্ছে। বিজেপি এবারেও প্রার্থী প্রার্থী করেছে গতবারের পরাজিত শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে। শেষ বাজি কোন পক্ষ মারবে তা ৪ জুন ভোট গণনার আগে বলা কঠিন।
দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৭ লক্ষ ৮২ হাজার। সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে এই লোকসভা আসন। এরমধ্যে দুটি বিধানসভা মুর্শিদাবাদের। দক্ষিণ মালদহের গড় ধরে রাখার জন্য মুর্শিদাবাদের অন্তর্গত দুটি বিধানসভার উপর প্রবল ভরসা করছে কংগ্রেস। সেই সঙ্গে এই ভোটেই ঠিক হয়ে যাবে আজও গনি খানের নামে মালদহের মানুষ ভোট দেয় কিনা।
হরষিত সিংহ