আরও পড়ুন: বদলে যাওয়া যুগের চাকা উল্টো পথে ঘোরাতে নাটকের আসর
এখন রোজই কোনও দলের নেতৃত্বরা দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছেন। আবার কেউ বিভিন্ন মন্দিরে মন্দিরে পুজো দিতে ব্যস্ত ভাল ফলের আশায়। তবে সব মিলিয়ে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয়। এদিকে আজও গ্রাম বাংলার ভোট প্রচারে সব থেকে পুরনো প্রচার মাধ্যম হল দেওয়াল লিখন। যদিও ধীরে ধীরে দেওয়াল লিখনের চোল কমছে। এদিকে সেই দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়াকে কেন্দ্র করেই তরজা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে।
advertisement
আসন্ন লোকসভা ভোট প্রসঙ্গে এসডিএমও অরিজিৎ দাস জানান, ইতিমধ্যেই মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট শুরু হয়ে গিয়েছে জেলাজুড়ে। তাই ভোট প্রচার ও ভোট সংক্রান্ত অন্যান্য সকল কার্যকলাপে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। বেশকিছু দল ইতিমধ্যেই দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছে। তবে এবারের নির্দেশিকাতে পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়েছে, দেওয়ালের মালিকের অনুমতি নিয়ে তারপর লিখতে হবে। অনুমতি না নিয়ে কিংবা মৌখিক অনুমতি নিয়ে কিছু করা যাবে না। তাই যেগুলি অনুমতি ছাড়া করা হয়েছে সেগুলি ইতিমধ্যেই সাদা রং করে মুছে দিচ্ছে প্রশাসন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এই বিষয়ে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি দায়িত্বপ্রাপ্ত কনভেনর অভিজিৎ বর্মন জানান, দলীয় ভাবে তাঁরা নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে কাজ করবেন। যদি অনুমতি না নিয়ে করা হয়ে থাকে তবে মুছে দিতেই পারে নির্বাচনের আধিকারিকরা। সেক্ষেত্রে লিখিত অনুমতি নিয়েই তাঁরা আবার দেওয়াল লিখবেন। কিন্তু, তৃণমূলের কোনও দেওয়াল লিখন কেনও মুছে দেওয়া হল না, এই প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় জানান, নির্বাচন কমিশনের কোনও কাজে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সুস্থ এবং স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করতে সহযোগিতা করা উচিত। তবে যারা নিয়ম মানবে না তাঁদের দেওয়াল তো মুছে দেওয়াই হবে। সব মিলিয়ে ভোটের শুরুতে দেওয়াল লিখন ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে জেলায়।
সার্থক পণ্ডিত