নদীর ওপর সেতু দাঁড়িয়ে থাকলেও, সেখানে পৌঁছানোর জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের নিজেদের উদ্যোগেই বাঁশের রাস্তা তৈরি করতে হয়েছে। তবে বর্ষা এলেই সেই রাস্তা ভেসে যায়, সমস্যার পাহাড় আরও বেড়ে যায় কৃষকদের জন্য। যখন তখন সেই সংযোগকারী বাসের সেতু ভেঙে গিয়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কার্যতও প্রাণ হাতে নিয়ে রোজ যাতায়াত করতে হয় দুর্গম এই পথ দিয়েই। এলাকার বেশিরভাগ বাসিন্দারাই কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত। কাজেই নিত্যদিন এই বিপদজনক জায়গা পেরোতেই হয় তাদের।
advertisement
আরও পড়ুন: পুরনো চাল ভাতে বাড়ে! ১০ বছর পর জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র খুলতেই গড়ল নতুন নজির
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সেতু নির্মাণ শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালে, তখনকার সাংসদ বিজয় চন্দ্র বর্মনের উদ্যোগে। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার পরও সংযোগকারী রাস্তা তৈরি হয়নি। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। জলপাইগুড়ি ও হলদিবাড়ির বাজারে কৃষিপণ্য পরিবহনের একমাত্র ভরসা এই সেতু। কিন্তু রাস্তা না থাকায় ভোগান্তির শেষ নেই। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন, বর্তমান সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত কুমার রায়ের কাছে এলাকাবাসী আবেদন জানিয়েছেন, যেন এই অসম্পূর্ণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় বাসিন্দা প্রসেনজিৎ সরকার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সবাই জানেন, বিডিও পর্যন্ত বিষয়টি জানেন, তবুও কেন কাজ হচ্ছে না, সেটা বোঝা কঠিন!” প্রশাসনের উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা এবার সরব হয়েছেন। ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি মিললেও, কাজ কবে হবে সেই প্রশ্নের উত্তর নেই কারও কাছে। কৃষিপ্রধান এলাকার এই সমস্যা দ্রুত সমাধান না হলে, ক্ষতির মুখে পড়বে হাজার হাজার কৃষক ও সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের এখনই হস্তক্ষেপ প্রয়োজন, নইলে বর্ষার জল আবারও ভাসিয়ে নিয়ে যাবে মানুষের স্বপ্ন!
সুরজিৎ দে