লাইব্রেরির বিষয় নিয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা রাজেন্দ্র বানিয়া জানান, “দীর্ঘ সময় আগে তৈরি হওয়া এই লাইব্রেরির একটা সময় বেশ চাহিদা ছিল। তবে ধীরে ধীরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা কমতে থাকে লাইব্রেরির। তারপর একটা সময় সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে এটির একেবারেই ভূতুড়ে দশা। তবে লাইব্রেরি খোলা হলে বহু মানুষের অনেক উপকার হবে।” লাইব্রেরি বিষয় নিয়ে গ্রন্থাগার আধিকারিক শিবনাথ দে জানান, “এতদিন লাইব্রেরি বন্ধই ছিল। মূলত কর্মীর অভাব একটা বড় কারণ। তবে নির্দেশিকা আসার পর থেকে লাইব্রেরি খোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে।”
advertisement
আরও পড়ুন: ভুট্টা ক্ষেতে লুকোচুরি! দীর্ঘ প্রচেষ্টায় আটক হল বন্য প্রাণ! যা ঘটল কোচবিহারে
এলাকার এক প্রবীণ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ডঃ তরুণ কুমার চক্রবর্তী জানান, “৭৭ পরে স্থাপিত হওয়া এই লাইব্রেরির একটা সময় ভালই চলত। পুরোনো কর্মীরা অবসর নেওয়ার পর থেকে আর কোন কর্মী এখানে আসেনি। তাই ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায় এটি পাঁচ থেকে ছয় বছর আগে।” জেলার ইতিহাস অভিজ্ঞ ব্যক্তি ঋষিকল্প পাল জানান, “যদি লাইব্রেরি খোলা হয় তবে অনেক বই প্রেমীদের সুবিধা হবে। তবে বর্তমান চাহিদার কথা মাথায় রেখে ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার বইও রাখতে হবে। তবেই লাইব্রেরি আবারও আকর্ষণ করবে বই প্রেমীদের।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই লাইব্রেরি ভবন সংস্কার না করা হলে এখানে কোন কাজ করা সম্ভব নয়। তবে লাইব্রেরির বাইরের অংশ কিছুটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। তাই স্থানীয়দের দাবি দ্রুত সংস্কার করার পর এই লাইব্রেরি আবারও শুরু করা হোক এলাকায়। তাহলে বহু মানুষের উপকার হবে।
Sarthak Pandit





