Bhutan Orange Price: হুড়মুড়িয়ে দাম কমল ভুটানের কমলালেবুর, স্বাদে লাজবাব! তবে কেনার আগে জাত চিনতে জানতে এইসব জিনিস

পিকনিকের মরশুম শুরু হতেই ভুটানের কমলালেবু সস্তায় মিলছে। যার ফলে সীমান্ত শহর জয়গাঁতে মুখে চওড়া হাসি ফুটেছে ক্রেতাদের।কমলালেবু বিক্রি করে ভাল উপার্জন হচ্ছে বিক্রেতাদের বলে জানা যায়। (ছবি ও তথ্য: অনন্যা দে)

সীমান্ত শহর জয়গাঁ থেকে এই কমলালেবু যাচ্ছে হ্যামিল্টনগঞ্জ আলিপুরদুয়ার শহরের বাজারগুলিতে। ডিসেম্বর শুরু হতেই ভুটানের ছোট কমলালেবু এসেছে বাজারে।বর্তমানে বড় কমলালেবু চলে এসেছে। এই কমলালেবুর জন‍্য বছরের এই সময়ে অপেক্ষা করে থাকেন জয়গাঁ-সহ আলিপুরদুয়ার জেলাবাসী। কমলালেবুর গন্ধে ভরেছে বাজারগুলি। কমলালেবুর জোগান সঠিক মিলতেই মুখে চওড়া হাসি ফল বিক্রেতাদের। ফলের দোকানে এসে মনে আনন্দ ক্রেতাদেরও।

ভুটানের কমলালেবু চিনতে ভুল করেন না আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁর বাসিন্দারা।ভুটানের কমলালেবুর রঙটা হয় কমলা ও লাল রঙের মিশ্রণে। স্বাদে থাকে না কোনও টকভাব। চিনির মতো মিষ্টি না হলেও ভুটানের কমলালেবু যে একবার খাবে তার মুখে লেগে থাকবে এই স্বাদ বলে দাবী বিক্রেতাদের।

ভুটান থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা ৩৫০ টাকা দিয়ে এক পন কমলালেবু আনছেন। এক পন মানে এক বস্তা কমলালেবু।এক বস্তায় থাকে ৪০-৫০ টি কমলালেবু। খুচরো বাজারে ডজন হিসেবে এই কমলালেবু বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকায়।

ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত চলে এই কমলালেবুর সিজন। এই দু'মাস মন ভরে কমলালেবু খেতে পারবেন সকলে বলে জানালেন ফল ব্যবসায়ীরা। আব্দুল মিয়া নামের এক ফল বিক্রেতা জানান, "ছোট কমলার চাহিদাই বেশি থাকে। ভুটান থেকে সেই অনুযায়ী আমরা কমলা এনে থাকি। প্রতি সপ্তাহে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে ছুটতে হয় ভুটানে কমলা আনতে। খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় এই কমলালেবু। দাম কম হওয়ার কারণে এর চাহিদা আরও বেশি।" (ছবি ও তথ্য: অনন্যা দে)