সুজাতা হাঁসদার বাড়ি রামপুরহাট থানার অন্তর্গত মাসড়া পঞ্চায়েতের জামকাদর গ্রামে। বর্তমানে পড়াশোনার সুবিধার্থে তিনি মল্লারপুরে থাকেন। গৃহশিক্ষকতা করে যে সামান্য আয় হয়, তা দিয়েই গত চার বছর ধরে তিনি আদিবাসী সমাজের দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের জন্য বই, কলম, খাতা, শীতবস্ত্র এবং খাবার কিনে বিলি করেছেন। এছাড়াও আদিবাসী মহিলাদের স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধও বিতরণ করেন তিনি। সুজাতা শুধু সমাজসেবায় নয়, সাহিত্যচর্চাতেও যুক্ত। তিনি কবিতা লেখেন এবং অচিরেই তাঁর একটি কবিতার বই প্রকাশিত হতে চলেছে।
advertisement
পুরস্কার গ্রহণ করে কলকাতা থেকে ফেরেন তিনি। কলকাতা থেকে সোজা পৌঁছে যান বীরভূমের তারাপীঠ স্টেশনে। সেখানে এলাকাবাসীরা ফুলের মালা, মিষ্টি এবং উত্তরীয় দিয়ে তাঁকে সংবর্ধিত করেন। এই সম্মান প্রসঙ্গে সুজাতা বলেন, “সারাজীবন যেন সাধারণ মানুষের কাজে যুক্ত থাকতে পারি,দুঃস্থ অসহায়দের মুখে হাসি ফোটাতে পারি, অভাবী ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়াতে পারি-এটাই আমার কামনা।”
সুজাতা হাঁসদার এই উদ্যোগ আদিবাসী সমাজের দুঃস্থ শিশু-কিশোরদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। তাঁর মতো উদার মনের ব্যক্তিরা সমাজের প্রকৃত পরিবর্তনের ধারক। এমন ভাবেই যদি সমাজের আরও অনেকে এগিয়ে আসেন, তাহলে সমাজ আরও সুন্দর হয়ে উঠবে।





