এই আবহে জলপাইগুড়ি জেলাজুড়ে ফের দেখা গেল এক পুরনো লোকাচার—বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে। ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি-সহ বিভিন্ন গ্রামে ধুমধাম করে হচ্ছে ব্যাঙের বিয়ে। শাড়ি, গয়না, সিঁদুর পড়িয়ে ব্যাঙ-ব্যাঙির বিয়ে দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা।
advertisement
চলছে ঢাক, বাজনা, নেমন্তন্নে ভুরিভোজও। লোকবিশ্বাস, ব্যাঙের বিয়ে হলেই ইন্দ্রদেব খুশি হন—নেমে আসে বৃষ্টি। প্রচণ্ড গরমে সাধারণ মানুষও অতিষ্ঠ। সেই সঙ্গে কৃষকরা চাষের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায়। তাই শত প্রযুক্তির যুগেও গ্রামবাংলা এখনও আশ্রয় নিচ্ছে প্রকৃতি নির্ভর এই লোকাচারে।
দেখা যাক, এই বিশ্বাস কতটা কাজে আসে, আর কবে ভেজে উত্তরবঙ্গের মাটি। একদিকে যেমন প্রাচীন সংস্কৃতির নিদর্শন, পাট চাষিরা জল না পেয়ে চিন্তিত, ধান চাষও অনিশ্চয়তার মুখে। জলপাইগুড়ির গ্রামে গ্রামে তাই এখনও শোনা যায় ব্যাঙের ডাক, সঙ্গে মানুষের প্রার্থনা আসুক বৃষ্টি, বাঁচুক চাষ।
সুরজিৎ দে





