আরও পড়ুন: অনুর্বর লালমাটির জেলায় মাশরুমে আস্থা, সঙ্গে হাতিয়ার পশুপালন
স্যাক্সোফোন বাদক হিসেবে তাঁর নাম সকলের মুখে মুখে ঘোরে।সেই সময়ের একাধিক জনপ্রিয় গানে এই স্যাক্সোফোনের বহুল ব্যবহার শুনতে পাওয়া যেত। আধুনিক যুগে এই বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার কমলেও এখনও বহু গানে এই বিশেষ বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়। সুবোধবাবু জানান, সঙ্গীতচর্চার প্রতি আমার টান বরাবরের। প্রথমে সানাই বাজাতাম।এরপর স্যাক্সোফোনের প্রতি টান বাড়ে জটেশ্বরের এক পোস্ট মাস্টারকে বাজাতে দেখে। তাঁর থেকেই প্রথম শিখেছি। এরপর কলকাতা থেকে শিখে এসেছি।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
বর্তমানে পিয়ানো, গিটার সহ অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রের রমরমার যুগে পুরনো এই স্যাক্সোফোন বাজিয়েই মানুষের মন জয় করে নিচ্ছে ৫৫ বছরের সুবোধ হাজরা। ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর হাজরাপাড়ার বাসিন্দা এই শিল্পীর স্যাক্সোফোনের মধুর সুর মন জয় করে নিয়েছে সবার। ডাক আসে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান থেকেও। এই স্যাক্সোফোন বাজিয়েই এখন জনপ্রিয় হয়েছে গিয়েছেন তিনি। স্থানীয় যাত্রা-নাটক থেকে শুরু করে বাউল গান ও বিয়ের অনুষ্ঠান সহ নানান অনুষ্ঠান আগে যোগ দিতেন সুবোধবাবু। নিজ জেলা ছাড়াও বিভিন্ন জেলায় স্যাক্সোফোন বাজাতে যান তিনি। প্রায় ৩৫ বছর ধরে স্যাক্সোফোন বাজাচ্ছেন। সহায়-সম্পদ বলতে বসতভিটে ছাড়া আর কিছুই নেই সুবোধ হাজরার। স্যাক্সোফোন তাঁর একমাত্র সম্পদ এবং এই স্যাক্সোফোন বাজিয়েই তিনি জীবিকা নির্বাহ করেন।
অনন্যা দে