আরও পড়ুন: নিয়ম-টিয়ম আবার কী! শাটার ভেঙে হপ্তা তুলল ‘ডন’ রামলাল
শহরের পথে এখন আর শোনা যায় না প্যাডেল রিক্সার হর্নের প্যাঁ পুঁ শব্দ। একসময় জলপাইগুড়ির টাউন স্টেশনের সামনে থেকে শুরু করে বিভিন্ন বাজারগুলির সামনে এবং বাস স্ট্যান্ডে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত রিক্সা। আলাদা করে থাকত রিক্সা স্ট্যান্ডও। সেখানে গেলেই মিলত তিন চাকার সাইকেলে রিক্সা। সেই সময় রিক্সায় চড়ার চল ছিল এতটাই যে রিক্সা পাওয়া মুশকিল হয়ে যেত সাধারণ মানুষের। কিন্তু এখন জলপাইগুড়ির সেসব জায়গায় গেলে শুধুই চোখে পড়ে টোটোর ভিড়। রিক্সার জায়গা সেখানে নেই বললেই চলে।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
অনেক খুঁজলে হয়ত দু’চারটে রিক্সা চোখে পড়তে পারে। তবে তারা আর কতদিন সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এদিকে টোটোর দাম কয়েক লক্ষ টাকা হওয়ায় দরিদ্র রিকশাচালকদের সকলের পক্ষে পেশা পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি। এই অবস্থায় অসহায় গরিব মানুষগুলো আগামী দিনে কীভাবে সংসার চালাবেন সেটাই সবচেয়ে বড় চিন্তা হয়ে দেখা দিয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরে একসময় চলত প্রায় ৮ হাজারের মত রিক্সা। সেখানে বর্তমানে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ টি রিক্সা এসে দাঁড়িয়েছে। সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে টোটো। ভবিষ্যতে হয়ত স্মৃতির খাতাতেই থাকবে তিন চাকার সাইকেল রিক্সা।
সুরজিৎ দে