এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা এবং বাজারের এক ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা জানান, “বাজারের মূল ভবনটি নির্মাণ শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে। ভবনটিতে প্রায় একশোর ওপর দোকানের কক্ষ রয়েছে। পানীয় জলের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সব রয়েছে এই ভবনে। তবুও ভবনটি শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। জায়গা সংক্রান্ত সমস্যার জন্যই ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বাজারের প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ জন ব্যবসায়ীর টাকা আটকে রয়েছে এতে। তাইতো এই ভবনটি দ্রুত শুরু করা হলে সুবিধা হবে ব্যবসায়ীদের।”
advertisement
আরও পড়ুন: হোলি মানেই মাস্ট মুখোশ, পিচকারি! কেনার সময় ঠকতে না হয়, দেখে নিন আসল দাম
বাজারের বাজার কমিটির কোষাধ্যক্ষ সঞ্জীব সরকার জানান, “ভবনটি বর্তমান সময়ে রীতিমত বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তবে জেলা প্রসাশন যদি জায়গা সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে ভবনটি দ্রুত শুরু করে। তবে ব্যবসায়ীদের অনেকটা সুবিধা হবে। সমস্ত সুবিধা থাকা সত্বেও ভবনটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে এই বিষয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর সূত্র জানতে পারা গিয়েছে, “ভবনটির জমি সংক্রান্ত কিছু সমস্যা রয়েছে। যেই সমস্যার কারণে ভবনটিকে শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
বর্তমান সময়ে এই ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার কারণে চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। দিনের পর দিন ভবনটি বন্ধ থাকার কারণে ভবনের লাইটের সুইচ থেকে শুরু করে, জলের কল পর্যন্ত চুরি হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ভবনটি নোংরা আবর্জনায় পরিপূর্ণ হয়ে রয়েছে একেবারেই। বেশিদিন এভাবে পড়ে থাকলে ভবনটি অচিরেই নষ্ট হয়ে যাবে। তাইতো জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এই ভবন দ্রুত চালু করা দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।
Sarthak Pandit





