তবে পুরুষ নয় এই সুবিধা পাবেন শুধুমাত্র মহিলারা। এদিকে যোগ্য মহিলারা বিভিন্ন সময় বেশ কয়েকবার ব্লক অফিস থেকে শুরু করে দুয়ারে সরকারে আবেদন করেও পাননি লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা। কিন্তু কিভাবে এই বিষয়টি সামনে এল?
advertisement
প্রতিদিনের মতই এদিন নিজের মোবাইল হাতে নিয়ে ঘাটাঘাটি করছিলেন মালদহের কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়াগ্রামের বাসিন্দা আমানুর রহমান। এর মধ্যেই তিনি তাঁর স্ত্রীর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের স্ট্যাটাস চেক করতে যান নিজের মোবাইল দিয়ে। মোবাইল নম্বর দিয়ে স্ট্যাটাস চেক করতেই দুটি নাম দেখা যায় ওই নম্বরে। বিষয়টি দেখেই তিনি হতবাক হয়ে যান। কারণ তার ছেলের নামের পরিবর্তে রয়েছে অন্য নাম।
সেই নামে আবার খুব একটা ফারাক নেই। রয়েছে শুধুমাত্র একটি অক্ষরের ফারাক। এদিকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরটিও তার ছেলের নয়। কৌতূহল বসে বেনেফিশিয়ারি আইডি টুকে আবার কপি পেস্ট করতেই ডিটেলস চেক করতে গিয়েই লক্ষ্য করেন ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে টাকা তোলা হচ্ছে তার মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে।
আরও পড়ুন: হাত দিয়ে ‘বিরিয়ানি’…! তীব্র কটাক্ষে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মেয়র প্রার্থী, জোহরান মামদানি, পাল্টা উত্তর নেটিজেনদের!
এছাড়াও ব্যবহার করা হয়েছে তার ছেলের আধার নম্বরও। এরপরেই তিনি বিষয়টি নিয়ে বিস্তর খোঁজখবর শুরু করেন। আমানুরের বুঝতে বাকি থাকে না কেউ বা কারা তার ছেলের আধার নম্বর এবং তাঁর নিজের ফোন নম্বর ব্যবহার করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তুলছে। এরপরেই তিনি তার ছেলেকে ডেকে পাঠান। তার ছেলেকে জিজ্ঞাসা করতে সেও জানায় এ বিষয়ে তার কিছুই জানা নেই এবং কাউকে তার কোনও নথিও সে দেইনি।
আমানুরের অভিযোগ, কেউ বা কারা ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর ফোন নম্বর এবং তাঁর ছেলের আধার কার্ডের নম্বর হাতিয়ে নিয়ে লক্ষীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করেছে ২০২১ সালে। এরপর থেকে লাগাতার তারা অসাধু উপায় অবলম্বন করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করছে। যখন তারা কালিয়াচক ১ ব্লকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদন জানিয়েছিল সেই সময় আমার ছেলের বয়স মাত্র ১৫ বছর, বর্তমানে সে ২০ বছরের। আমানুরের কথায়, এই কাজ কোনও অসাধু চক্র করেছে। তাও আবার আমার ছেলের আধার কার্ডে জালিয়াতি করে। আমি এনিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি ব্লক অফিস ও কালিয়াচক থানায়। আমি তদন্ত চাইছি।” এবিষয়ে মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, একটি অভিযোগ হয়েছে। তাতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জিএম মোমিন