অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কী এই মাইক্রোগ্রিন? তাহলে জেনে রাখুন মাইক্রো মানে ছোট আর গ্রিন বলতে এখানে গাছ বোঝানো হচ্ছে। মূলত ট্রে ভর্তি চারাগাছই হল মাইক্রোগ্রিন। আর এই চারাগাছ এক সপ্তাহ বা দু’সপ্তাহ বয়সেই কাঁচা খেতে হয়। মাইক্রোগ্রিন চাষের উদ্দেশ্য কিন্তু ভরপেট খাওয়া নয়, ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করা। কারণ সাধারণ সবজিতে যে পরিমাণ পুষ্টি পাওয়া যায়, মাইক্রোগ্রিনে তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি পাওয়া যায়। কারও কারও মতে এই পুষ্টির পরিমাণ ৪ গুণ বেশি! পাশাপাশি এটি খাবারের স্বাদেও নতুনত্ব এনে দেয়। আর সেই কারণেই বিভিন্ন বড় বড় দেশগুলিতে এটি বিক্রি হচ্ছে তিন থেকে চার হাজার টাকা কেজিতে। বর্তমানে উত্তরবঙ্গেও এর চাহিদা প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে।
advertisement
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফার্ম বিভাগের দায়িত্বে থাকা অমরেন্দ্র পাণ্ডে জানান, সব সবজির মাইক্রোগ্রিন হয় না। মূলত যেসব সবজি বা শাক একদম চারা অবস্থায় কাঁচা খাওয়া যায় সেই সবের বীজই এই কাজে ব্যবহার করা যায়। এক্ষেত্রে কৃষকদের পছন্দের তালিকায় আছে সর্ষে, মুলো, লেটুস, বাধাকপি, লাল শাক, গাজর, সূর্যমুখী, মেথি, বিটরুট, ব্রকোলি, মটরশুঁটি, শালগম ইত্যাদি। এই চাষে খুব একটা খাটনি নয় খুব সহজেই আপনি নিজের বাড়িতে এই মাইক্রোগ্রিন চাষ করতে পারেন।একটি ট্রেতে দুই ইঞ্চির মতো মাটির স্তর করে সেটাকে ভাল করে ভিজিয়ে তাতে বীজ ছিটিয়ে দিতে হয় প্রথমে, তারপর তাতে মাটির আরেকটি স্তর দিয়ে বীজগুলোকে ঢেকে দিতে হবে। সাধারণত অঙ্কুরিত হওয়ার এক সপ্তাহ বা থেকে বিশ দিনের মধ্যেই খাওয়ার উপযোগী হয় মাইক্রোগ্রিন। আপনি চাইলে হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতেও জলের মধ্যে গাছের প্রয়োজনীয় খাবার দিয়ে এই চাষ করতে পারেন। মূলত চারায় যখন দুটি করে পাতা গজায় তখনই ওটা মাইক্রোগ্রিন। কিছু সবজি আছে এর চেয়ে বড় হলে আর কাঁচা খাওয়া যায় না।
তাহলে আর দেরি কিসের নিজের বাড়িতেই কম খরচে চাষ করুন এই মাইক্রো গ্রিন এবং আয় করুন লক্ষ লক্ষ টাকা। বর্তমানে কৃষকদের জন্য বিরাট সুযোগ এনে দিয়েছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফার্ম বিভাগ। দেওয়া হচ্ছে মাইক্রো গ্রিন চাষের প্রশিক্ষণ।
সুজয় ঘোষ