পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে জানান উত্তরবঙ্গের বনপাল ভাস্কর জে. ভি.। তাঁর কথায়, “জলদাপাড়া, গরুমারা ও সংলগ্ন বনাঞ্চলের পরিস্থিতি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। বন্যপ্রাণী নিরাপত্তার জন্য টহলদারি ও উদ্ধার অভিযান চলছে।”
আরও পড়ুন: লক্ষ্মী পুজোর আগেই উত্তরবঙ্গে প্রবল বিপর্যয়, কীভাবে হচ্ছে পুজো? জানুন জলপাইগুড়ির হালহকিকত
শনিবার রাত থেকে অবিরাম বৃষ্টিতে যখন চারদিক বিপর্যস্ত, ঠিক তখনই এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে নকশালবাড়ি ব্লকের মনিগ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-নেপাল সীমান্তের ঝাঁপুজত এলাকায়। রবিবার ভোরে নেপাল থেকে ভারতে ঢোকার সময় নদী পার হতে গিয়ে এক হাতির শাবক ভেসে যায় তীব্র স্রোতে। দলটি কলাবাড়ি-বন অঞ্চলে ঢুকছিল, কিন্তু শাবকটি মেচি নদীর প্রচণ্ড স্রোতে ভেসে ধানক্ষেতে আটকে পড়ে।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় জমান। খবর যায় কার্শিয়াং বন বিভাগের টুকরিয়া ঝাড় ও কলাবাড়ি রেঞ্জের বনকর্মীদের কাছে। চার ঘণ্টার কঠিন চেষ্টার পর বনকর্মীরা শাবকটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। পরে নিরাপদে হাতির দলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাকে। প্রবল বৃষ্টিতে এখনও অনেক বন্যপ্রাণী আশ্রয় নিয়েছে কাছাকাছি গ্রাম, চা-বাগান ও কৃষিজমিতে। নদীর জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে, ফলে নতুন করে বিপদের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বন দফতর সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।