বাচিক শিল্পী কানাইলাল চ্যাটার্জির যত্নে গড়ে ওঠা এই ‘বনসাই আখড়া’ আজ প্রকৃতিপ্রেমী ও শিল্পানুরাগীদের কাছে এক অনন্য ঠিকানা। বড় গাছের ক্ষুদ্র রূপ বনসাই। এই শিল্পেই প্রায় চার দশক ধরে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন কানাইলালবাবু। বর্তমানে তাঁর সংগ্রহে রয়েছে ৩০০-রও বেশি প্রজাতির বনসাই। আফ্রিকার মাসাইমারার বাওবাব থেকে সুন্দরবনের সুন্দরী, দেশ-বিদেশের দুর্লভ গাছের ক্ষুদ্র রূপ একসঙ্গে ধরা দিয়েছে এই আখড়ায়।
advertisement
নিখুঁত হাতের কাজ আর শৈল্পিক ভাবনায় ৪০ বছরের একটি বটগাছ আজ মাত্র দু’ফুট উচ্চতায় টেবিলের উপর শোভা পাচ্ছে। বাড়ির উঠোন, ছাদ ও নানা কোণে তেঁতুল, খেজুর, বকুল, পাকুড় সহ নানা প্রজাতির বনসাই সাজানো। খ্যাতনামা সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারও এই বনসাই আখড়া ঘুরে গিয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
একটি বনসাই তৈরি করতে লাগে বছরের পর বছর ধৈর্য ও যত্ন ও ভালবাসা। সেই ভালোবাসা থেকেই কানাইলালবাবুকে টানা ৪০ বছর ধরে বেঁধে রেখেছে এই শিল্প। শখ থেকে শুরু হলেও আজ এই বনসাইয়ের ব্যবসায়িক চাহিদাও বাড়ছে দ্রুত। ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে এখান থেকে বনসাই পাঠানো হয়েছে। কানাইলাল চ্যাটার্জির স্বপ্ন আরও বড়। আগামী দিনে এই সবুজ সম্ভার আরও বিস্তৃত করে প্রকৃতিকে মানুষের আরও কাছাকাছি এনে দেওয়াই তাঁর লক্ষ্য।





