প্রাচীন এই ঐতিহ্যবাহী প্রথার সূচনা হয়েছিল চাঁচলের তৎকালীন রাজা শরৎচন্দ্র রায় বাহাদুরের হাত ধরে। সেই থেকে আজও প্রথা মেনে গ্রামবাসীরা সগৌরবে পালন করে আসছেন কালী দৌড়। গ্রামবাসীদের কথায়, মূলত রাজা শরৎচন্দ্র রায় তাঁর শাসনকালে সম্প্রীতির বন্ধন মজবুত করতে এই কালী দৌড় প্রতিযোগিতার সূচনা করেন।
advertisement
কালী প্রতিমা নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন গ্রামের বিভিন্ন পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা। এক পুজো উদ্যোক্ত জানান, “প্রতিবছরই ধুমধাম সহিত আয়োজন করা হয় এই কালী দৌড়ের। বুড়ি কালী, চুনকা কালী, বাজারপাড়া কালী, আম কালী, হ্যান্টা কালী, হাট কালী, ও শ্যামা কালী ইত্যাদি পুজো উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণ করেন এই প্রতিযোগিতায়। এরপর প্রতিমা কাঁধে করে ছোটেন লক্ষ্যের উদ্দেশ্যে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মালতিপুর বাজার পরিক্রমা করে কালীবাড়ির কাছের কালী দীঘিতে পৌঁছনো দৌড়ের লক্ষ্য। প্রথা অনুযায়ী, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী যে প্রতিমাটি অক্ষত থাকবে, সেই প্রতিমার হবে প্রথম বিসর্জন।” আজও এই প্রতিযোগিতার দিন চাঁচলের মালতিপুরে সমাগম ঘটে বহু দর্শনার্থীদের। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে থেকে হাজার হাজার ভক্তদের ঢল নামে মা কালীর প্রতি তাঁদের ভক্তি নিবেদন করতে।