‘বই ঠেক খানা’ নামে ক্যাফেতে একদিকে যেমন সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়৷ পাশাপাশি সেখানে বসে দাবা খেলা যায়। গান বাজনা করা যায়। সেখানকার লাইব্রেরিতে বসে বইও পড়া যায়। এই জাতীয় বিভিন্ন সুবিধা একসঙ্গে পাওয়ার জন্য জলপাইগুড়ি শহরের নতুন প্রজন্মের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই ক্যাফে।
এদিন সন্ধ্যায় আচমকাই ওই ক্যাফেতে হাজির হন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এহেন একজন বিখ্যাত মানুষকে সাধারণ মানুষের মতো দেখে হকচকিয়ে যান সেখানকার কর্মী ও উপস্থিত মানুষজনেরা।
advertisement
রেস্টুরেন্টে এসে তিনি প্রথমে টেবিলে বসেন। এরপর তিনি একজন সাধারন খদ্দেরের মতো ওই হোটেলের মেনু কার্ড দেখে রেস্টুরেন্টে বিখ্যাত আইটেম ফ্রাই মোমো অর্ডার দেন। আর এতেই আরও অবাক হয়ে যান সেই সময় রেস্টুরেন্টে উপস্থিত থাকা যুবক যুবতীরা।
অর্ডার দেওয়ার পর তিনি সেখানকার লাইব্রেরিতে রাখা বই নিয়ে পড়া শুরু করে দেন। কিছুক্ষন পর অর্ডার সার্ভ করা হলে তিনি টেবিলে বসে ফ্রাই মোমো খান।
আরও পড়ুন: বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন ‘জওয়ান’-এর অভিনেতা! এখনও ছাদ আলাদা হয়নি যুগলের, তবে…
এরপর আশেপাশে থাকা মানুষজন তার সঙ্গে ছবি তোলার জন্য অনুরোধ করেন। নিরাশ করেননি বিচারপতি। পরে বিল মিটিয়ে দিয়ে চলে যান তিনি। জানা গিয়েছে এদিন প্রায় ৪০ মিনিট মতো সেখানে ছিলেন বিচারপতি।
হোটেলের ফ্লোর ম্যানেজার শ্রীবাস সরকার বলেন, ”ব্যাপারটা আমাদের কাছে সারপ্রাইজের মতো। কারণ ওঁর মতো একজন বিশিষ্ট মানুষ আমাদের এখানে আসবেন, তা আমরা কোনও দিন ভাবতেই পারিনি। পাশাপাশি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের তরফে আমাদের এখানে আগাম টেবিল বুক করা ছিল না। বা উনি আমাদের এখানে আসবেন বলে কেউ জানায়নি। ফলে ওঁকে দেখে আমরা প্রথমে হকচকিয়ে যাই। বিষয়টি একদম স্বপ্নের মতো ছিল। প্রায় ৪০ মিনিট এখানে ছিলেন। উনি চলে যাওয়ার অনেক পরে আমি ধাতস্থ হই।”
এদিন ওই সময় উপস্থিত ছিলেন পিযূষ দাস নামে এক কর্মী। তিনি বললেন, ”যাঁকে আমরা টিভিতে খবরের শিরোনামে দেখে থাকি, আজ তিনিই আমাদের এখানে আসবেন, তা আমরা কোনও দিন ভাবতেও পারিনি। উনি আর দশটা সাধারণ মানুষের মতো মেনু দেখে ফ্রাই মোমো অর্ডার দিলেন। এরপর বই পড়লেন। খাবার সার্ভ করা হলে উনি খেলেন। এরপর বিল মিটিয়ে চলে যান। বিচারপতিকে আমরা অনুরোধ করলাম আমাদের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য। উনি রাজিও হলেন। বিরল মুহূর্ত আমরা ক্যামেরাবন্দী করে রেখেছি।”
সুরজিৎ দে