মূলত, মেয়েদের সাজগোজের জিনিসই বিক্রি করেন তনু। ভ্যান গাড়ি নিয়ে শহরের দূরদূরান্তে বিক্রি করতে যেতে হয় বলে শহরের বহু মানুষের কাছেও অজানা নয় তনুর জীবন সংগ্রামের কাহিনি। জীবন নিয়েছে হাজারও পরীক্ষা। স্বামী থাকতেও নেই। তা সত্ত্বেও সংসারের যাবতীয় কর্তব্য পালন করতে পিছপা হননি তিনি। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিতে হয়েছে ঋণ। সাজগোজের জিনিস বিক্রি করে যা লাভ হয় তার বেশিরভাগই ঋণ মেটাতে দিতে হয় কিস্তি হিসেবে। একার সংসার কোনওরকমেই চলে।
advertisement
আরও পড়ুন- কয়েক পা হাঁটলেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? সিঁড়ি ভাঙতে কষ্ট? সাবধান…! কীসের উপসর্গ? জেনে নিন
শত কষ্টের মধ্যে দিয়েও নিজেকে হাসিখুশি রেখে প্রখর রোদে দু’চাকার ভ্যান গাড়ি নিয়ে হরেক মালের জিনিস পত্র বিক্রি করেন তিনি। বেশি উপার্জনের জন্য রোজই যেতে হয় প্রায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার রাস্তা। তনুর কাজের প্রশংসা করে শহরের এক বিশিষ্ট শিক্ষিকা বলেন, \”আমার খুবই ভাললাগছে এই মহিলা সম্মানের সঙ্গে পরিশ্রম করে দু’টো পয়সা রোজগার করছেন।\” সারাদিনে দম ফেলার সময় না পেলেও এই জীবন নিয়ে তনুর নেই কোনও অভিযোগ । বরং হাসিমুখেই জানায়, এই কাজ তার ভালইলাগে। জীবন পরীক্ষা নেবেই আর সেই পরীক্ষা হাসিমুখে জয় করে বেঁচে থাকার নামই জীবন। জীবনের প্রতি এমন ইতিবাচক ভাবনা সত্যিই হৃদয় স্পর্শ করে বৈকি।
সুরজিৎ দে