Iran Woman Who Stripped At University: বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বাস পরে ঘুরে বেড়ানো 'প্রতিবাদী' ইরানিয়ান তরুণীর কী হল? জানলে শিউরে উঠবেন!
- Published by:Tias Banerjee
- news18 bangla
Last Updated:
Iran Woman Who Stripped At University: ইসলামিক আজাদ ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে পোশাক খুলে ঘুরছেন সেই তরুণী। ইরানের কড়া পোশাকবিধির প্রতিবাদে শুধু অন্তর্বাস পরে নেমেছেন প্রকাশ্য রাস্তায়। ইন্টারনেটে ঝড় তুলেছে তাঁর সেই বেপরোয়া পদক্ষেপ।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র আমির মেহবুব এক্সে দাবি করেছেন, জানা গিয়েছে ওই মহিলা তীব্র মানসিক চাপে রয়েছেন এবং মানসিক সমস্যাও রয়েছে। কিন্তু সমাজমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে ওই মহিলার মানসিক সমস্যা নেই, তিনি প্রতিবাদ জানাতেই এমন করেছেন। শুধু তা-ই নয়, আমিরের দাবি, ওই নারী তাঁর স্বামীর থেকে বিবাহবিচ্ছেদ করেছেন। দুই সন্তানের মা তিনি, এমনও শোনা গিয়েছে।
advertisement
অ্যামনেস্টি-র মতো কোনও কোনও সংবাদমাধ্যম দেখায়, ইরানে পোশাকবিধির "অপমানজনক প্রয়োগের" প্রতিবাদ করার পরে ওই নারীকে "সহিংসভাবে গ্রেফতার করা হয়েছিল"। ইরানের ফারস বার্তা সংস্থা বলেছে যে দুই নিরাপত্তা কর্মী তাঁর সঙ্গে "শান্তভাবে কথা বলেছেন" এবং তাঁকে ড্রেস কোড অনুসরণ করতে বলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র জানান, তরুণী ও নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে কোনও মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়নি।
advertisement
তিনি এখন কোথায়? সোশ্যাল মিডিয়ার ভিজ্যুয়ালে দেখা যাচ্ছে একদল লোক তরুণীকে ধরে গাড়িতে তুলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্রের মন্তব্য থেকে বোঝা যায় তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মহিলা জানিয়েছিলেন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। আমির কবির নিউজলেটার অভিযোগ করেছে যে গ্রেফতারির সময় তরুণীকে মারধর করা হয়েছিল।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাঁর অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছে এবং বলেছে যে কর্তৃপক্ষ তাঁকে নির্যাতন এবং অন্যান্য খারাপ আচরণ থেকে রক্ষা করবে।
advertisement
২০২২ সালে, ইরানী-কুর্দি মহিলা মাহসা হামিনি পোশাকবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। বিক্ষোভে দেখা যায় নারীরা তাঁদের মাথার স্কার্ফ খুলে ফেলেন এবং পুড়িয়ে দেন। কঠোর ভাবে দমন করা হয়েছিল সেই বিদ্রোহ। ৫০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে হত্যা করা হয়েছিল। গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রায় ১০০০ জন! সেই নজিরের পর এই তরুণীর এমন বিদ্রোহে ফের অশনি সংকেত দেখছেন অনেকেই। প্রতিবাদের জন্য হোক বা না হোক এই ঘটনা কিছুটা হলেও সমাজমাধ্যমে আলোচনায় উঠে এসেছে।