জলপাইগুড়ি জেলায় ইতিমধ্যেই জেই-তে আক্রান্ত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য ও প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর। কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ অ্যানিম্যাল হেলথ অ্যান্ড ভেটেনারি বায়োলজিক্যাল-এর বিশেষজ্ঞ দল ইতিমধ্যেই জেলায় এসে ৯টি ব্লকে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কেস স্টাডি শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে ১ জন পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন যিনি ভিনরাজ্য থেকে ফিরেছেন। আবার কোথাও আক্রান্তদের এলাকায় শুয়োরের খামারই নেই।
advertisement
বিশেষজ্ঞ তাপস সরকার জানাচ্ছেন, পরিযায়ী পাখির বিষ্ঠা কোনওভাবে শুয়োর খেয়ে ফেললে তাদের শরীরেও ভাইরাস বাসা বাঁধতে পারে। সেই কারণে জেলার বিভিন্ন শুয়োরের খামার থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে প্রায় ১০০ টি রক্তের নমুনা, যা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে উত্তরপ্রদেশে সেন্টার ফর অ্যানিম্যাল ডিজিস রিসার্চ অ্যান্ড ডায়গনোসিস-এ।
সিএমওএইচ ডা. অসীম হালদার বলেন, “শুধু শুয়োর নয়, ধান চাষের জমিতে জমে থাকা জলেও মশার বংশ বিস্তার হচ্ছে। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” শিশুদের ইতিমধ্যেই টিকাকরণ শুরু হয়েছে। খামারগুলিকে মশারির জালে ঢেকে রাখতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি জটিল। কারণ ধানখেত শুকানো বা পাখিদের আটকানো অসম্ভব। তবুও সচেতনতাই একমাত্র ভরসা—এখন সেটাই বলছেন প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা!