এই মেলা ও এই মন্দির এখন উত্তরবঙ্গে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়। কলকাতা ছাড়া অসম, ভুটান থেকেও অনেক ব্যবসায়ী মেলায় এসেছেন তাঁদের পসরা নিয়ে। মেলায় বসেছে লোকসঙ্গীতের আসরও। বলাবাহুল্য, উত্তরবঙ্গের অন্যতম বৃহত্তম মেলা জল্পেশ মেলা। এই মেলায় প্রতিবছরই সমাগম হয় লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর। করোনার কারণে গত দুবছর বন্ধ ছিল জল্পেশ মেলা। এ বছর ইতিমধ্যেই মন্দিরকে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে রং করার কাজ।
advertisement
আরও পড়ুন : আপনার রান্নাঘরে গ্যাসস্টোভ ঠিক আছে তো? বুঝবেন কী করে?
মন্দির কমিটি জানিয়েছে, প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী ১০ দিনই মেলা চলবে। নিরাপত্তার স্বার্থে মন্দিরের চারপাশে লাগানো ২০টি সিসিটিভি ক্যামেরা। মন্দির কমিটির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক-সহ পুলিশও থাকবে। দু'রকমের টিকিট রয়েছে মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে। ১০ টাকা ও ১০০ টাকার টিকিট। করোনার কারণে সকল পুণ্যার্থীদের মাস্ক পড়া-সহ সবরকম করোনাবিধি অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : ৯০ বছরে প্রথম বার এই বিরল প্রাণীর জন্ম হল বিলেতের চিড়িয়াখানায়
আরও পড়ুন : এক টিকিটে কোটিপতি! এক বেলাতেই আমূল ভাগ্য পরিবর্তন দিনমজুরের
জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ময়নাগুড়িতে ঐতিহ্যমণ্ডিত মন্দিরটির পাশেই রয়েছে জর্দা নদী। কারও কারও মতে, দশম শতকে মন্দিরটি গড়ে ওঠে। তবে ইতিহাসবিদরা বলেন, সপ্তদশ শতাব্দীতে যখন এই মন্দির নতুন ভাবে সংস্কার করা হয় সেই সময় থেকেই মন্দির চত্বরে মেলা শুরু হয় শিব চতুর্দশীতে। কোচবিহারের রাজা প্রাণ নারায়ণ ১৬৩২ থেকে ১৬৬৫ খ্রিস্টাব্দ এবং তার পুত্র মোদনারায়ণ ১৬৬৫ থেকে ১৬৮০ খ্রিস্টাব্দে এই মন্দির সংস্কার করেন বলে জানা যায়।
( প্রতিবেদন : ভাস্কর চক্রবর্তী)