প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতা জানানোর এক পুরনো ঐতিহ্যেই এবার মেতে উঠল গোটা গ্রাম। নেপালি সমাজের মানুষজন রঙিন পোশাকে, লোকগীতি আর ঐতিহ্যবাহী নাচের মাধ্যমে উদযাপন করলেন আষাঢ় উৎসব।বংবস্তি থেকে তুমলাবুং — সর্বত্র একই আবহ। মাটির গন্ধে, সোনালি রোদের পরশে আর সবুজে ঘেরা গ্রামীণ প্রান্তরে এদিন মাঠজুড়ে ছিল ছেলেমেয়েদের প্রাণচাঞ্চল্য। ঢোল-মাদল আর হাসিমাখা মুখে তারা যেন প্রকৃতির সঙ্গেই তাল মেলাল।
advertisement
এই উৎসবের মূল বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ — ধান রোপণের সময়ে মাটিকে পুজো দিয়ে কৃষকেরা কামনা করেন পর্যাপ্ত বৃষ্টি ও ফলন। এটি শুধু একটি উৎসব নয়, বরং খাদ্য সুরক্ষার প্রার্থনাও।তবে শহরমুখী নতুন প্রজন্মের কারণে এই সংস্কৃতি আজ কিছুটা ঝাপসা। তাই তুমলাবুং-এর মানুষ চাইছেন, এই উৎসব ছড়িয়ে পড়ুক শহর ও পর্যটনের মানচিত্রেও। শিশুকিশোররা যেন আবার মাটির টানে ফিরে আসে, এই চেষ্টাতেই প্রতিবছর আয়োজিত হয় এই উৎসব। চিড়ে-দই, পাহাড়ি পিঠে আর গান-বাজনার ছোঁয়ায় এই দিন যেন মাটির খুব কাছে নিয়ে গেল সবাইকে। গ্রামবাসীদের কথায়— “প্রকৃতির সঙ্গে থাকতে পারাই তো আসল সমৃদ্ধি।”