দার্জিলিং মেল ধরে সে রবিবার পৌঁছেছে কলকাতা, সেখান থেকে ৩০ তারিখ হাওড়া হয়ে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবে জলপাইগুড়ির এই তরুণ। উত্তেজনার পাশাপাশি মনের ভিতরে কাজ করছে দায়িত্বের চাপও। জলপাইগুড়ি শহরের রায়তক পাড়া বাড়িতে বসেই সঙ্গম জানায়, এবছর ২৬ জানুয়ারি দিল্লির কর্তব্য পথে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে সে। জাতীয় সেবা প্রকল্প (এনএসএস)-এর ভলেন্টিয়ার হিসেবে উত্তরবঙ্গের সাত জেলার মধ্যে একমাত্র প্রতিনিধি সঙ্গম রায়—যা নিঃসন্দেহে গর্বের।
advertisement
সঙ্গম জলপাইগুড়ি আনন্দ চন্দ্র কমার্স কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে সে। গত বছর পথ দুর্ঘটনায় বাবাকে হারিয়েছে সঙ্গম। মা মুন্নি রায় গৃহবধূ। সমস্ত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সমাজসেবার প্রতি অদম্য আগ্রহ তাকে এনএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত করেছে। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই একাধিক এনএসএস ক্যাম্প ও সামাজিক কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে সে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে শিলিগুড়ির সূর্যসেন কলেজে অনুষ্ঠিত এনএসএস ক্যাম্পে জেলা এনএসএস ইয়ুথ আইকন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে সঙ্গম। পাশাপাশি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে ন্যাশনাল এক্সেলেন্ট ওয়ার্ক অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছে সে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দিল্লির কুচকাওয়াজে পৌঁছনোর পথ সহজ ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজ্য স্তরের একাধিক কঠিন বাছাই পর্ব পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত নির্বাচিত হয়েছে সঙ্গম। গত ১৬ ডিসেম্বর এই সুখবর পৌঁছতেই খুশির জোয়ার আসে পরিবার ও কলেজে। কলেজ কর্তৃপক্ষের আশা, দিল্লিতে গিয়ে জাতীয় স্তরের অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফিরে এসে সঙ্গম অন্য ভলেন্টিয়ারদেরও অনুপ্রাণিত করবে। জলপাইগুড়ির এই তরুণ আজ শুধু নিজের স্বপ্ন পূরণ করেনি, গোটা উত্তরবঙ্গের মুখ উজ্জ্বল করতে চলেছে।





