স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আব্দুর রহমান নামে এক ব্যক্তি বাজার থেকে মাছের আঁশ কিনে এনে তা ধুয়ে রোদে শুকিয়ে থাকেন। শুধু আঁশ নয়, মাছের দেহাংশও নাকি পড়ে থাকে খোলা জায়গায়। ফলে রোজকার জীবনে নাক ঢেকে চলাই রেওয়াজ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই গন্ধে মাঝেমধ্যেই অনেকেই বমি করছেন, অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, আশেপাশের হিমঘর কর্তৃপক্ষও সমস্যায় পড়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ভুটানের আবহাওয়ার খবর ডুয়ার্সে! তাও আবার ৭২ ঘণ্টা আগে, লাভটা কোথায় জানেন?
অভিযোগ, তাদের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে একটি বড় গর্ত খোঁড়া হয়েছে। সেই গর্তে মাছ ধোয়ার পচা জল ফেলা হচ্ছে বলে আশঙ্কা। হিমঘর কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রাচীর ধসে গিয়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। জলপাইগুড়ি প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, একাধিকবার জানিয়েও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যদিও অভিযুক্ত আব্দুর রহমান বলেন, “পেটের দায়ে এই ছোটখাটো ব্যবসা করছি। গন্ধ যাতে না ছড়ায়, সেই জন্য ব্লিচিং, ফিনাইল ব্যবহার করা হয়।” কিন্তু তাতেও কমছে না দুর্ভোগ। এলাকার মানুষ চান, অবিলম্বে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করুক। রোজকার জীবন থেকে দুর্গন্ধের শৃঙ্খল কেটে যেন মুক্তি মেলে। এলাকার বাসিন্দারা মানবিক আবেদন জানাচ্ছে—জীবিকার তাগিদ যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই প্রতিবেশীর স্বস্তিও জরুরি। তাই দু’পক্ষের জন্যই হোক সমাধানের রাস্তা!
সুরজিৎ দে