জলপাইগুড়ি জেলার রাজাডাঙা পঞ্চায়েতের উত্তর মাঝগ্রামের খালধুরা গ্রামে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল। অভিযোগ, সদ্যোজাত পুত্রসন্তানকে খুন করে মাটিতে পুঁতে ফেলতে চেয়েছিল রেজিনা বেগম। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে রেজিনা একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেয়। অভিযোগ, জন্মের পর কয়েক মিনিটের মধ্যেই শিশুটিকে মাটির নীচে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করতে দেখা যায় তাকে। সেই দৃশ্যই দেখে ফেলেন কয়েকজন গ্রামবাসি। তাঁরা দৌড়ে যেতেই শিশুটিকে ফেলে পালিয়ে যায় রেজিনা।
advertisement
জানা যায়, রেজিনার স্বামী জিয়ারুল হক কাজের সূত্রে বাইরে রয়েছেন। মুহূর্তে খবর পৌঁছয় ক্রান্তি ফাঁড়িতে। তত ক্ষণে মৃত্যু হয়েছে সদ্যোজাতর। পুলিশ এসে শিশুর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসছে নির্মম হত্যাচেষ্টার চিত্র। স্থানীয়দের ক্ষোভ, ”এমন নিষ্ঠুরতার যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক”।
ধলাবাড়ি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী সীমা দাস জানান, প্রেগন্যান্সি টেস্টের সময় প্রস্রাবের বদলে জল দিয়ে প্রতারণা করেছিল রেজিনা। একটি মেয়ে রয়েছে রেজিনার, মা হয়ে এমন প্রতারণা এবং নিষ্ঠুরতা স্থানীয়দের কাছে সম্পূর্ণ অমার্জনীয়। অনেকে বলছেন, হয়তো বা চরম আর্থিক সংকট এবং মানসিক সমস্যার কারণে এই নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে রেজিনা বেগম। ক্রান্তি ফাঁড়ির ওসি কে টি লেপচা জানিয়েছেন, খুনের মামলা রুজু হয়েছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্য তল্লাশি চলছে।






