এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জলপাইগুড়ি বন বিভাগের মরাঘাট রেঞ্জে মোতায়েন করা হল অতিরিক্ত মহিলা বনকর্মী। বন দফতর জানাচ্ছে, চা-বাগানের কাজ বন্ধ হয়ে গেলে জঙ্গলঘেঁষা অঞ্চলগুলির বহু মহিলা প্রতিদিন সকালেই কাঠ সংগ্রহে জঙ্গলের গভীরে ঢুকে পড়েন। বিগত কয়েক বছরে এই আচরণ প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষের। বন্যপ্রাণীর আক্রমণে মৃত্যুর ঘটনাও সামনে এসেছে একের পর এক।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘পাকা ধানে মই’, লাখ লাখ টাকার ক্ষতি! বিঘার পর বিঘা জমিতে আগুনে কৃষকদের সর্বনাশ
তবুও অভাব-অনটনের চাপে আজও অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গলে প্রবেশ করেন। এই পরিস্থিতিতেই খট্টিমারি ও তোতাপাড়া বিট এলাকায় মোতায়েন হয়েছে মহিলা বনকর্মীদের বিশেষ বাহিনী। বাকি বিটগুলিতে চলছে রুটিন টহল। জঙ্গল সংরক্ষণে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বন দফতর। জঙ্গলের ভেতর কারও প্রবেশের চেষ্টা দেখা মাত্রই আটকানো হচ্ছে। পাশাপাশি সচেতনতা বাড়াতে চলছে প্রচারও। মরাঘাটের রেঞ্জ অফিসার চন্দন ভট্টাচার্য বলেন, “চা পাতা তোলার কাজ বন্ধ হলেই জঙ্গলে কাঠ সংগ্রহ বাড়ে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই না মানুষ-বন্যপ্রাণী সংঘাত হোক। মানুষের নিরাপত্তা ও জঙ্গলের অখণ্ডতা দুটোই আমাদের দায়িত্ব। তাই বাড়তি মহিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয়দের কথায়, মহিলা বনকর্মীদের উপস্থিতি জঙ্গলমুখী অনেককেই পিছিয়ে দিচ্ছে। কারও কারও মতে, বিকল্প জ্বালানি বা সরকারি সহায়তার অভাবই মানুষকে আবার জঙ্গলের দিকে ঠেলে দেয়। বন দফতর বলছে, বছরভর জঙ্গলের সুরক্ষা নিশ্চিত করাই এখন তাদের প্রধান লক্ষ্য।





