স্থানীয়দের দাবি, বিষক্রিয়ায় মৃত পাখি ও মুরগির সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। অনেক পাখি জমিতে বিষমিশ্রিত খাদ্য খেয়ে কিছুটা দূরে গিয়ে মারা পড়েছে বলেও জানা গিয়েছে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের আশঙ্কা, এভাবে নির্বিচারে বিষ প্রয়োগ শুধু পাখি নয়, পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে।
advertisement
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বন দফতর। জলপাইগুড়ি ডিভিশনের রেঞ্জ অফিসার দূর্বা শেরপা জানান, “আমরা এসে প্রায় ৪০টির মতো মৃত পাখি দেখতে পাই। সেগুলি সংগ্রহ করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পশু-পাখি সুরক্ষা সংগঠনের সদস্য প্রীতম দাস জানান, অভিযুক্ত জমির মালিককে আগেও বিষ প্রয়োগের কুফল সম্পর্কে একাধিকবার সচেতন করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কোনও পরিবর্তন না হওয়ায় বিষয়টি বড় দফতরের নজরে আনা হয়। তাঁর মতে, বন দফতরের কঠোর পদক্ষেপই ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রুখতে পারে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিবেশপ্রেমী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। পরিবেশ ও বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের স্বার্থে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ এবং কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জোড়াল দাবি উঠেছে এলাকাজুড়ে।






