পর্যটন-নির্ভর জীবিকায় প্রত্যক্ষভাবে এই অস্বাভাবিক পর্যটক ভাটার প্রভাব পড়েছে। জিপসি চালক, গাইড, রিসর্ট কর্মী থেকে শুরু করে স্থানীয় দোকানদার সবার মুখেই উদ্বেগ। মূর্তি এলাকার এক জিপসি চালক বলেন, “এই সময় সাধারণত দিনে ১০-১২টা গাড়ি বুকিং থাকে। এখন ৩-৪টে গাড়িও ভরছে না। খরচ চালানোই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।” গাইডরাও একই সমস্যার সম্মুখীন। ট্যুরিস্ট না থাকলে আয় বন্ধ, ফলে তাঁদের সংসারের হাল ধরা আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। দোকানদারেরা বলছেন, পর্যটকের ভিড় না থাকায় খাবারদাবার ও জিনিসপত্র বিক্রি দিন দিন কমছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো অতীত! বন্যপ্রাণ বাঁচাতে এবার গতি নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি, বন দফতরের বড় পদক্ষেপ
পর্যটন মহলের মতে, এই বছরের পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন, স্কুলের চলতি সেমিস্টার পরীক্ষা এবং সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের কারণে বহু পরিবার শীতের ছুটিতে বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা পিছিয়ে দিয়েছে। তবে এসবের পাশাপাশি সবথেকে মূল কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে এসআইআর। এই মুহূর্তে রাজ্য জুড়ে এসআই আরের তোড়জোড় চলছে। বিএলও-রা ফর্ম দিতে ও জমা নিতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। সেসব যাতে মিস না হয়ে যায় সেই কারণেই বাইরে ঘুরতে যাওয়া এখন পিছিয়ে দিয়েছেন বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এসবের জেরে সাধারণত বছরের এই সময়ে পর্যটকদের যে চাপ দেখা যায়, এবার তা অনেকটাই কম। ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসায়ীদের দাবি, কয়েক বছরে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি। শীতের মরশুমের শুরুতেই পর্যটকের ভিড় না থাকা তাঁদের জন্য বড় ধাক্কা। তবে তাঁরা আশাবাদী, বড়দিন ও নববর্ষের ছুটিতে পর্যটকের ঢল ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই প্রত্যাশাতেই এখন দিন গুনছেন ডুয়ার্সবাসীরা।





