ঘটনাস্থলে উপস্থিত পর্যটকদের অনেকেই প্রথমে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারেননি। রিসর্টের গেট পেরিয়ে সত্যিই এক গজরাজ ঢুকে পড়েছে একথা বিশ্বাস করতে একটু সময় লাগে তাঁদের। কলকাতা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা জানান, রিসর্টের উঠোনে দাঁড়িয়ে থাকা হাতিটিকে দেখে তাঁদের প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল ভয় ও বিস্ময়ের মিশেল। কেউ কেউ আবার ক্যামেরা হাতে মুহূর্তটি বন্দি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সোনারপুরে বেপরোয়া গতির বলি দুই কিশোর! ‘দানব’ গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু, পরিবারে হাহাকার
জঙ্গলের ‘মহারাজ’ কখন কোন পথে হাজির হবেন, তার ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন…এ রাত যেন তারই নিদর্শন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যার পরেই গরুমারা জঙ্গল এলাকা থেকে হাতিটিকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। বেশ কিছুক্ষণ লোকালয়ে ঘোরাঘুরির পর সে যেন নিজের পথ ধরে রিসর্টের ভিতর প্রবেশ করে। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়ালেও দ্রুত বন দফতরকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে খুনিয়া স্কোয়াডের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তাঁদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও হাতিকে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যেতে সহায়তা করেন। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টার পর অবশেষে গজরাজকে গরুমারার ঘন অরণ্যে ফেরানো সম্ভব হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ডুয়ার্সের এই অঞ্চলে মাঝেমধ্যেই হাতির লোকালয়ে চলে আসার ঘটনা ঘটে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে। তবে পর্যটকদের কাছে এ দৃশ্য এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। ভয়ের সঙ্গে রোমাঞ্চ মিশে তৈরি হয়েছে যেন আজীবন মনে রাখার মতো এক স্মৃতি!





