দৈনন্দিন কাজ, বাজার, স্বাস্থ্য পরিষেবা সবকিছুর জন্য এই সেতুই ছিল একমাত্র ভরসা। টানাটানি ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় নদী পেরনো কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেড় মাসের মধ্যে নতুন ব্রিজ তৈরি করে দেবেন। সেই কথাই রাখল রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুনঃ চিলাপাতার জঙ্গলে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ভয়াবহ পরিণাম! সেতু থেকে গাড়ি পড়ে মৃত ২, আশঙ্কাজনক আরও ২ জন
advertisement
জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় যুদ্ধকালীন গতিতে কাজ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ঝকঝকে নতুন টানাটানি ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে যাতায়াত। নতুন সেতু পেয়ে খুশিতে মুখর এলাকাবাসী। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শামা পারভিন এই বিষয়ে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দেওয়ার পর তাঁরই নির্দেশে জেলা প্রশাসন বিভিন্ন দফতরের সহযোগিতায় যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। এলাকার মানুষদের যাতে আর কোনও রকম অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয়, সেই কারণেই গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হয়েছে। এলাকাবাসীরা এতে খুশি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
চা শ্রমিকদের কথায়, “ব্রিজটা না থাকলে আমরা একেবারেই আটকে পড়তাম। মুখ্যমন্ত্রী কথা রেখেছেন, তাই আবার স্বাভাবিক জীবন শুরু করতে পারছি।” এতদিন বর্ষায় খানিক বেশি বৃষ্টি হলেই কপালে ভাঁজ পড়ত এলাকাবাসীর। বিগত অক্টোবরে অপ্রত্যাশিত ভয়ানক বন্যায় সব তছনছ হয়ে যাওয়ায় চরম অসুবিধার মুখোমুখি হতে হয়েছিল স্থানীয়দের। এরপর অল্প বৃষ্টি হলেই কার্যত সিঁদুরে মেঘ দেখতেন তাঁরা। তবে এবার সব চিন্তার অবসান হল। এই নতুন ব্রিজ যেমন যোগাযোগ সহজ করেছে, তেমনই এলাকায় ফিরিয়ে এনেছে মানুষের নিরাপত্তা, স্বস্তি ও ভবিষ্যতের আশা।





