রবিবার ভোরে ধূপগুড়ির ভোটপাড়া এলাকায় রেললাইন পার হওয়ার সময় মালগাড়ির ধাক্কায় গুরুতরভাবে জখম হয় দলের দুই সদস্য। কিছুদূর এগিয়ে লোকালয়ে পড়েই মৃত্যু হয় একটি দাঁতাল হাতির। অন্য হাতিটি রেললাইনের ধারে প্রাণ নিয়ে লড়াই করছিল। প্রায় পাঁচ ঘন্টা পর চিকিৎসা শুরু হয়েছিল সেই হাতির। আর এতেই ক্ষোভ জমতে শুরু করেছিল স্থানীয়দের। তবে আহত হাতিটিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চিকিৎসা দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচান যায়নি। গভীর রাতে, প্রায় সাড়ে ন’টা থেকে দশটার মধ্যে মৃত্যু হয় দ্বিতীয় হাতিটিরও।
advertisement
দুর্ঘটনার পর পুরো এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। আহত হাতিটিকে ঘিরে পাহারা দিচ্ছিল একই দলের বাকি তিন সদস্য। কখনও তারা ঘটনাস্থলের আশপাশে, কখনও গ্রামাঞ্চলে ঘুরে বেড়াচ্ছিল এই দৃশ্য দেখেও আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে। শিশু-বৃদ্ধ সবাই আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরোতে পর্যন্ত সাহস পাননি। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক রয়েছে বন দফতর। যদিও সকালে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রেল কর্তৃপক্ষ ও বন দফতরের মরাঘাট রেঞ্জের কর্মীরা। আহত হাতিটির চিকিৎসার জন্য বন দফতরের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হলেও ক্রমশ তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত মৃত্যু এড়ানো যায়নি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন, এই রেললাইনের ওপর দিয়ে প্রায়ই হাতির দল যাতায়াত করে। রাতের বেলায় দ্রুতগতির মালগাড়ি চলাচলের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। বহু বছর ধরেই একই সমস্যা চললেও স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করা হয়নি বলে দাবি বাসিন্দাদের। আবারও দুই হাতির মৃত্যুতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের প্রশ্ন “এই নির্মম মৃত্যুমিছিল আর কবে থামবে?” উত্তর অধরা।




