জলপাইগুড়ির এক বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সে। ছোটবেলা থেকেই রং-তুলি নিয়ে আঁকার প্রতি তার গভীর ভালোবাসা। মামার কাছ থেকে আঁকা শিখে তিনি শুরু করেন নিজের চিত্রশিল্পের যাত্রা। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি ক্যানভাসে ছবি আঁকা, দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ, একের পর এক পুরস্কার অর্জন — এভাবেই তার শিল্পী জীবনের এক নতুন দিগন্ত খুলে গিয়েছে। বিগত বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তার আঁকা ছবির প্রদর্শনী হয়েছে।
advertisement
২০২১ সালে বাংলাদেশ থেকে “এস এম সুলতান অ্যাওয়ার্ড ২০২১”, ২০২৩ সালে ইতালির ফেব্রিয়ান শহরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে, আবার সেই বছরেই নেপালের কাঠমান্ডুতে আন্তর্জাতিক শিল্পকলা-অনুষ্ঠানেও তার ছবি প্রদর্শিত হয়েছে। ২০২৪ সালে আমেরিকার টেক্সাস শহরেও তার চিত্রকর্মের প্রদর্শনী ছিল। তবে তার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন এসেছে বীর গাথা ফর ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ২০২৪-এর সুপার উইনার খেতাব অর্জনের মাধ্যমে। অঞ্চিতা জানান, “স্কুলে বসে ২০২৪ সালের ৪ঠা অক্টোবর আমি ছবিটি আঁকেছিলাম। বিষয় ছিল দেশের বীর যোদ্ধা রানী লক্ষ্মী বাঈ সহ অন্যান্য গুণী ব্যক্তিরা। ঝাঁসির রানীর চরিত্র আমাকে সবসময়ই অনুপ্রাণিত করেছে। তবে এত বড় সম্মান পেয়ে আমি বিস্মিত।
আরও পড়ুন-অকালে সব শেষ! চন্দ্রমৌলির মৃত্যুতে শোকে পাথর রূপম ইসলাম, কল্যাণীর মঞ্চে যা করল ফসিলস…
আমি কখনও ভাবিনি যে এত বড় প্রতিযোগিতার মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করব। তিনি আরও জানান, “পুরস্কার পাওয়ার পর দিল্লিতে গিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার নেওয়ার কথা শুনে আমি খুবই আনন্দিত। এটি আমার জন্য এক স্বপ্নপূরণের মতো।” তার আঁকা ছবির মাধ্যমে একদিকে যেমন ইতিহাসের ঐতিহ্য ফুটে উঠছে, তেমনই নিজের প্রতিভার ঝলকও স্পষ্টতুলির টানে। দেশ-বিদেশের মঞ্চে তার অর্জনগুইআজ জলপাইগুড়ির গর্ব!
সুরজিৎ দে