আগে জলপাইগুড়ির এই জাগ্রত লোটাদেবী মায়ের মন্দিরে যেতে হলে পাড়ি দিতে হত জলপথে। বর্ষায় কার্যত জল পেরিয়েই পৌঁছতে হত মায়ের কাছে। খানিক অসুবিধা হলেও মায়ের কাছে ভক্তদের আনাগোনায় কোনও খামতি ছিল না। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হল। আসন্ন বার্ষিক পুজো উৎসবের আগেই দারুণ সুখবর জলপাইগুড়িবাসীর জন্য।
advertisement
কচ্ছপদের জন্য সংরক্ষিত বাসস্থান
করলা নদীর উপর নির্মিত হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত ফুটব্রিজ। যার ফলে বর্ষাকালে নদী পারাপারের ভোগান্তি এখন অতীত। ব্রিজ তৈরির কাজ প্রায় শেষ এখন অপেক্ষা শুধু উদ্বোধনের। এর আগে লোটাদেবী মন্দিরে পৌঁছতে হলে ভক্তদের পুকুর ও জলপথ পেরিয়ে যেতে হত। খানিক অসুবিধা থাকলেও সারাবছরই পুণ্যার্থীদের আনাগোনা লেগে থাকত এই মন্দির চত্বরে। বিশেষ করে বার্ষিক পুজোর সময় ভিড় আরও বেড়ে যেত। নিরাপদ যাতায়াতের অভাবে বহু ভক্তই সমস্যার মুখে পড়তেন।
আরও পড়ুনঃ শীতের শান্ত ঘুম বদলে গেল চিরঘুমে! ছাদ বেয়ে ঘরে ঢুকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ, হাড়হিম করা কাণ্ড মালদহে
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে করলা নদীর উপর একটি ফুটব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জলপাইগুড়ির বিধায়ক ডাঃ প্রদীপ কুমার বর্মা। অবশেষে সেই কাজ সম্পন্ন হল। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের (NBDD) অর্থানুকূল্যে প্রায় ২ কোটি ৫৬ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা ব্যয়ে এই আধুনিক ফুটব্রিজ নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়েছে। ফুটব্রিজ তৈরির ফলে শুধু ভক্তদের যাতায়াতই সহজ হল না, পাশাপাশি প্রাচীন পুকুর সংরক্ষণ ও পুকুরে থাকা কচ্ছপদের বাসস্থানও সুরক্ষিত থাকল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমানে প্রায় রোজই পর্যটক ও ভক্তদের আসা-যাওয়া শুরু হয়েছে। নতুন ফুটব্রিজ ঘিরে খুশির হাওয়া জলপাইগুড়ি জুড়ে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মন্দিরের পুরোহিত ও কমিটির সদস্যরাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। উৎসবের মুখে মন্দির চত্বর সেজে উঠেছে নতুন রূপে। মা লোটাদেবীর দর্শন এখন আরও সহজ, আরও নিরাপদ এই বিশ্বাসেই আশাবাদী ভক্তমহল।





