জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকের রামশাই বারহাতি সংলগ্ন এলাকায় বিশাল আকৃতির সাপটিকে ঘরের সামনে দেখেই আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু করেন স্থানীয়রা। দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ ফুট! এক নজর দেখলেই বোঝা যায়, এটি সাধারণ সাপ নয়,বিশ্বের অন্যতম বিষধর কিং কোবরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রথমে তাঁরা দূর থেকে সাপটিকে দেখে ঘাবড়ে গেলেও দ্রুতই রামশাই মোবাইল স্কোয়াডকে খবর দেন। পরে বিষয়টি জানানো হয় ময়নাগুড়ি রোড পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সদস্যদের।
advertisement
এই নিয়ে বেশ কয়েকবার লোকালয় থেকে বিষধর সাপ উদ্ধার করেছে তারা। ফলে অভিজ্ঞতার জোরে সাহসীভাবে এগিয়ে যান দলের সদস্যরা। একদিকে সাধারণ মানুষ দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়িয়ে দেখতে থাকেন উদ্ধার অভিযান, অন্যদিকে বন দফতর ও পরিবেশপ্রেমী স্বেচ্ছাসেবকদের নিখুঁত কর্মকৌশলে ধীরে ধীরে ধরা পড়ে কিং কোবরা। সাপটিকে আঘাত না করে নিরাপদভাবে ধরতে বিশেষ সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়।
উদ্ধারকারীদের মতে, বনের খাদ্যাভাব বা আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে সাপটি লোকালয়ে ঢুকে পড়তে পারে।উদ্ধারের পর সাপটিকে প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে বন দফতরের হাতে তুলে দেন পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা। পরে সেটিকে নিরাপদ বনে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- জঙ্গল থেকে হঠাৎ ‘দৈত্যের’ মতো বেরিয়ে এল বুনো হাতি, আক্রান্ত রিক্সাচালক
স্থানীয়দের একাংশ বলেছেন, “এভাবে আবার কিং কোবরা দেখে ভয় তো পেয়েছিলাম, তবে পরিবেশপ্রেমীরা না এলে আমরা আতঙ্কেই রাত কাটাতাম।” এই ঘটনার পর বন দফতর এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি সাপ দেখলে না ছুঁতে ও দ্রুত হেল্পলাইনে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছে। ডুয়ার্সে মানুষ ও বন্যপ্রাণীর কাছাকাছি বসবাসে যে ঝুঁকি বাড়ছে, এই উদ্ধার অভিযান যেন আবারও সেই বাস্তবতাই মনে করিয়ে দিল!





