উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের উদ্যোগে তৈরি এই সেতু এবং তার সংযোগকারী রাস্তা এখন চা বাগানের সবুজ গালিচার মধ্যে দিয়ে কালো পিচের সরু সুতোর মতো এগিয়ে চলেছে। এই রাস্তার একপাশে সবুজ বন, অন্যপাশে পাহাড়ের কোলে ছড়িয়ে থাকা চা বাগান – প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোড়া এই দৃশ্য এখন পথচলতি মানুষদের কাছে হয়ে উঠেছে এক বিশেষ আকর্ষণ।
advertisement
আরও পড়ুন : স্বপ্ন নয় সত্যি! এক সিদ্ধান্তে ৪৫ বছর পর ‘ছেলেবেলা’ ফিরল তিন বন্ধুর
সেলফি তোলার হিড়িক বেড়েছে এতটাই যে, অনেকেই বলছেন গোটা রাস্তা যেন নিজেই একটা সেলফি পয়েন্ট। জেলা পরিষদের এক সদস্য জানান, “এই রাস্তা দুটি গ্রামকে যুক্ত করেছে। বহুদিন ধরে চেষ্টা করেও সংযোগ রক্ষা করা যাচ্ছিল না। অবশেষে বাস্তবায়িত হল স্বপ্ন।” তবে শুধুই রাস্তা নয়, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন দফতরের যৌথ উদ্যোগে মেটেলি ব্লকের অন্তর্গত জুরন্তি চা বাগান এলাকাকে পানীয় জল, সোলার স্ট্রিট লাইট, এবং অন্যান্য পরিষেবার মাধ্যমে উন্নয়ন করা হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই রাস্তা এখন শুধু যোগাযোগের পথ নয়, বরং এক সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠছে। তবে মাঝেমধ্যে লেপার্ড সহ বন্যপ্রাণীর চলাচল থাকায় স্থানীয়দের সাবধানতাও অবলম্বন করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে, প্রকৃতি ও উন্নয়নের মেলবন্ধনে গড়ে ওঠা এই পাহাড়ি রাস্তাটি এখন গোটা উত্তরবঙ্গের গর্ব!