জয়দীপ কথা বলতে পারেন না, কানেও শুনতে পান না। তবুও তাঁর দোকানে নেই কোনও অস্বস্তি। দোকানের সামনে স্পষ্ট করে লেখা থাকে ভাপা পিঠের দাম। ক্রেতারা ঈশারায় জানান ক’টা পিঠে চাই। এই ঈশারাতেই চলে লেনদেন। মাঝে মাঝে ছোট ভাই এসে সহযোগিতা করে, কিন্তু বেশিরভাগ সময় নিজের চেষ্টাতেই সব কিছু সামলান এই যুবক।
advertisement
আরও পড়ুনঃ অটো নিয়ে সোজা গাছে ধাক্কা, মর্মান্তিক পরিণতি চালকের! একমাত্র রোজগেরের মৃত্যুতে দিশেহারা পরিবার
স্থানীয় বাসিন্দা ও জয়দীপের দোকানের নিয়মিত ক্রেতাদের কথায়, প্রতিবন্ধকতা কখনও তাঁকে থামাতে পারেনি। তিনি কখনও কারও কাছে হাত পাতেননি। কখনও শ্রমিকের কাজ, কখনও ছোটখাটো পেশা, কঠোর পরিশ্রমই ছিল তাঁর জীবনের মূল ভরসা। এখন শীতের মরসুমে ভাপা পিঠে বিক্রিই তাঁর পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জয়দীপের বাবা নেই। এই সামান্য আয় দিয়েই তিনি বৃদ্ধ মা, দুই বোন ও এক ভাইয়ের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। তাঁর লড়াই প্রমাণ করে, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কখনও জীবনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। কথা না বলে, কানে না শুনেও সম্মানের সঙ্গে বাঁচা যায়। জলপাইগুড়ির জয়দীপ মোহন্ত তাঁর নীরব সংগ্রামের মধ্য দিয়েই সমাজের প্রতিটি মানুষের কাছে সেই বার্তাই পৌঁছে দিচ্ছেন।





