প্রায় ১০০-র বেশি ঘর রয়েছে জলপাইগুড়ির সুন্দরবনে। তিস্তার চরে চাষাবাদ করেন তারা। সেই চাষাবাদের উপর নির্ভর করে গোটা গ্রাম সারা বছর চলে। কিন্তু বছরের প্রথমেই সেই সবুজ ধান থেকে শুরু করে বিভিন্ন সবজি চাষ সমস্ত কিছুই তলিয়ে নিয়ে গেল বন্যা।
আরও পড়ুনঃ সংসারের হাল ধরতে ভিনরাজ্যে পাড়ি, ফিরল নিথর দেহ! নন্দীগ্রামের ২ যুবকের সঙ্গে কী ঘটল গুজরাতে?
advertisement
সুন্দরবন থেকে আসা মানুষগুলো তিস্তা চরের জমিতে চাষাবাদ করে দিন গুজরান করেন। কেউ ধান চাষ করেন, কেউবা সবজি ফলান। বিপর্যয়ের জেরে সেসব জলে তলিয়ে গিয়েছে। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। সুন্দরবন থেকে জীবিকার সন্ধানে তিস্তার চরে আসা মানুষগুলো এখন আশ্রয়হীন। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে তিস্তার বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের আসল গ্রামে ফিরে যাবেন নাকি এখানেই রয়ে যাবেন, সেটাই ভেবে উঠতে পারছেন না তাঁরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এলাকার বাসিন্দা সবিতা মন্ডল বলেন, ‘যে ভোরবেলা থেকে জল ঢোকা শুরু হয় গোটা এলাকায় বাড়ির জরুরি কাগজপত্র কিছুই নিয়ে বেরোতে পারিনি। সমস্তটাই তলিয়ে গিয়েছে নদীর সেই খরস্রোতা জলে’। এখানকার পঞ্চায়েত সদস্য জয়শ্রী রায় বলেন, গোটা এলাকায় শেষ অনুচিহ্ন নেই সুন্দরবন এলাকায়। এই মানুষগুলো ভিম জেলা থেকে এসে এখানে চাষাবাদ করে কিন্তু সমস্তটাই তলিয়ে নিয়ে গেল তিস্তার খরস্রোতা জল।