গ্রামীণ জনগণের অন্যতম ভরসা জলপাইগুড়ির সেনপাড়া পোস্ট অফিস। চিঠিপত্র হোক বা পেনশন, স্পিড পোস্ট হোক বা সেভিংস অ্যাকাউন্ট—প্রতিদিন শতাধিক মানুষের ভিড় লেগেই থাকত এখানে। কিন্তু গত প্রায় দু’মাস ধরে সেই চেনা দৃশ্য নেই। অফিসের দরজায় তালা, কাউন্টারে নেই কর্মচারী, আর হতাশ মুখে ফিরে যেতে হচ্ছে গ্রাহকদের। কারণ? একটি রাউটার। হ্যাঁ, সেনপাড়া পোস্ট অফিসের একমাত্র ইন্টারনেট রাউটারটি খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ডেঙ্গুয়াঝাড় পোস্ট অফিসে। সেখানে নাকি গ্রাহক সংখ্যা বেশি, তাই সুবিধার্থে নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু এর ফল ভুগছেন সেনপাড়ার প্রায় ১০ হাজার সাধারণ মানুষ।
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মী দাস বললেন, “পেনশন তুলতে এসে দেখি অফিসই বন্ধ। শহরে গিয়ে লাইন দিয়ে টাকা তুলতে হচ্ছে, ওখানেও চাপ বেশি। এত কষ্ট কেন?” কেউ বই পাঠাতে পারছেন না, কেউ গুরুত্বপূর্ণ নথি পাঠাতে এসে হতাশ। সমস্যার স্থায়ী সমাধানের কোনও দিশা নেই। পোস্ট অফিস দফতরের পক্ষ থেকেও মিলছে না সুনির্দিষ্ট আশ্বাস। বিশেষত প্রবীণ নাগরিকদের জন্য পোস্ট অফিস এখনও ভরসার জায়গা। অথচ সেই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এক প্রবীণ গ্রাহক রীতিমত আক্ষেপ করে বলেন, “সারাজীবন এই অফিসে আসছি। এখন পড়ে পড়ে থাকতে হচ্ছে বন্ধ দরজার সামনে। এটা খুব অপমানজনক।” অবিলম্বে সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। না হলে তাঁদের ভাষায়, “আন্দোলনই একমাত্র রাস্তা।” ডিজিটাল ভারতের স্বপ্নে যখন সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করছে, তখন একটিমাত্র রাউটারের অভাবে মাসের পর মাস পোস্ট অফিস বন্ধ থাকা — সত্যিই কী তা প্রগতির ছবি? প্রশ্ন তুলছে সাধারণ মানুষ।
সুরজিৎ দে