স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তারঘেরা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ৩০-৪০টি হাতির একটি বড় দল পশ্চিম ডামডিমের বিস্তীর্ণ ধানক্ষেতে হানা দেয়। কৃষকদের ক্ষেত নষ্ট হতে দেখে গ্রামবাসীরা বনকর্মীদের সঙ্গে মিলে হাতির দলকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেন। কিন্তু কালিঝরা নদীর ধারে একটি পূর্ণবয়স্ক দাঁতাল হাতি আলাদা হয়ে পড়ে এবং সারাদিন ধরে সেখানেই অবস্থান করে। হাতিটিকে দেখতে ভিড় বাড়তেই থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন : মঞ্চে উঠলেই কাঁপিয়ে দিচ্ছে এলাকা, গলায় যেন সাক্ষাৎ সরস্বতীর বাস! ১১ বছরের মেয়ে পুরুলিয়ার গর্ব
সন্ধ্যায় বনকর্মীরা হাতিটিকে বনমুখী করার চেষ্টা করলে চিৎকার-চেঁচামেচির মধ্যে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে দাঁতালটি এবং তেড়ে আসে জনতার দিকে। ঠিক সেই সময় আত্মরক্ষার্থেই বনকর্মীরা শূন্যে ছররা গুলি ছোড়েন, এমনটাই দাবি বনদফতরের। তবে ছররা গুলির কিছু অংশ গ্রামবাসীদের গায়ে লাগে। আহতদের মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর উত্তেজিত গ্রামবাসীরা বনদফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তাঁদের অভিযোগ নিজেদের ফসল বাঁচাতে পাহারা দিচ্ছিলাম। তবু কেন তাদের গুলির শিকার হতে হল, সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। বিক্ষুব্ধ জনতা বনকর্মীদের গাড়ি ঘিরে ধরে প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে বনকর্মীরা স্থান ত্যাগ করেন। পরে মাল থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এদিকে বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, হাতিটি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিল। ভিড় না সরে যাওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়। আত্মরক্ষার জন্যই গুলি ছোড়া হয়। আহতদের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক।






