কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সেই টয়লেটগুলির দরজা বন্ধ। শ্যাওলা জমেছে বায়ো টয়লেটে। ফলে শহরের নিত্যযাত্রীরা যেমন সমস্যায় পড়ছিলেন, তেমনি দূর-দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ মানুষও বিপাকে পড়ছিলেন। কয়েক বছর আগে পৌরসভার উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো হয়েছিল একাধিক বায়ো টয়লেট। প্রাথমিকভাবে পরিষেবা শুরু হলেও কিছু দিনের মধ্যেই সেগুলি বন্ধ হয়ে যায়। অভিযোগ, যে এজেন্সির হাতে টয়লেটগুলির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তারা সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করেনি।
advertisement
আরও পড়ুন : একটা প্রতিমা শুকনো করতেই শেষ পুরো সিলিন্ডার, কাঁচামালের দাম আকাশছোঁয়া! শিল্পীদের ঘুম নেই
এর ফলেই দীর্ঘদিন অচল অবস্থায় পড়েছিল শহরের এই গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা। এর আগেও বারংবার পৌরসভার তরফে বায়ো টয়লেটের দরজা খুলে যাওয়ার আশ্বাস মিললেও, তা সফল হয়নি। এবারও মিলেছে সেই আশ্বাস। এবার কি খুলবে দরজা? এমনই প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষের একাংশ।
আরও পড়ুন : হারানো ছেলেবেলা! থিমে খেলার দুনিয়া সাজিয়ে দর্শকদের চমক দেবে দুর্গাপুরের ‘এই’ পুজো কমিটি
বিষয়টি নিয়ে শহরবাসীর ক্ষোভ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। পথ চলতি মানুষের আক্ষেপ, “এমন আধুনিক ব্যবস্থা যদি ব্যবহারই না করা যায়, তবে বসানোর মানেই বা কী?” অনেকেই রাস্তাঘাটে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছিলেন। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য এই অসুবিধা ছিল ভীষণ। অবশেষে সেই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জলপাইগুড়ি পৌরমাতা পাপিয়া পাল জানান, “যে এজেন্সিগুলি সঠিকভাবে কাজ করেনি, তাদের ফের ডাকা হয়েছে। খুব শীঘ্রই শহরের বন্ধ বায়ো টয়লেটগুলি আবার চালু হবে।” শহরবাসীর আশা, নতুন করে চালু হলে এবার যেন টয়লেট পরিষেবাগুলি টেকসই হয়। শুধু কাঠামো তৈরি করাই নয়, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনা এখন মূল চ্যালেঞ্জ। মানুষ চায়, এইবার যেন সত্যিই শহরকে ‘স্মার্ট’ করার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যাক জলপাইগুড়ি!