আরও পড়ুন: চলতি বছরেই নিজস্ব স্কুল বিল্ডিংয়ে অলচিকিতে পড়াশোনা
পশ্চিমবঙ্গে একশৃঙ্গ গন্ডারের স্বর্গরাজ্য জলদাপাড়া অভয়ারণ্য। তোর্ষা নদীর তীরে অবস্থিত এই অভয়ারণ্যের সামগ্রিক আয়তন ১৪১ বর্গ কিলোমিটার। জলদাপাড়া মুলত নদী কেন্দ্রিক বনাঞ্চল। পাশাপাশি রয়েছে একটি সুবিস্তৃত তৃণভূমি। জীব ও উদ্ভিদের বৈচিত্র্যময় সমাবেশ দেখা যায় এই অভয়ারণ্যে। এগুলির মধ্যে অবলুপ্তপ্রায় একশৃঙ্গ গণ্ডার বিশেষভাবে উল্লেখ্য। এই বনভূমি প্রধানত লম্বা এলিফ্যান্ট জাতীয় ঘাস বিশিষ্ট সাভানা অঞ্চল। অসমের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের পর ভারতে এই অভয়ারণ্যেই সর্বাধিক সংখ্যক গন্ডারের দেখা পাওয়া যায়। এই অভয়ারণ্যে বসবাসকারী অন্যান্য বন্যপ্রাণীগুলি হল হাতি, সম্বর হরিণ, মায়া হরিণ, চিতল হরিণ, হগ ডিয়ার, বুনো শুকর, বাইসন এবং নানান সরীসৃপ। জলদাপাড়া পাখিপ্রেমীদের কাছেও স্বর্গরাজ্য।
advertisement
পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের নাম। তাই বন্যপ্রাণীদের দেখার সুযোগ করে দিতে সাফারির দুটি নতুন রুট বের করেছে বন দফতর। জঙ্গলের ঘাস পরিস্কার করে এই রুট বের করা হয়েছে। সাফারিতে প্রবেশ করলে প্রথমেই দেখা মিলবে হরিণ, ময়ূরের। এরপর হাতি, বাইসন, একশৃঙ্গ গন্ডারের দেখা পাবেন। এই বিষয়ে এডিএফও নভজ্যোতি দে জানান, জিপ ও হাতি সাফারি হয় জলদাপাড়ায়। এরমধ্যে পর্যটকদের বেশি পছন্দ হাতি সাফারি। কোদালবস্তি সিসি লাইন, চিলাপাতা জঙ্গলের রুট দিয়েও চলে সাফারি। গন্ডারের সংখ্যা বাড়তেই বেড়েছে পর্যটকদের ভিড়।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
বর্তমানে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে রয়েছে ৩০০ টির বেশি গন্ডার।একটু লাজুক স্বভাবের হলেও এই প্রাণী নিরাশ করে না পর্যটকদের। হলং নদীর সামনে গেলেই দেখা পাওয়া যায় বিপুল সংখ্যক বন্যপ্রাণীর। আপন খেয়ালে ঘুরে বেড়ায় গন্ডার, নিশ্চিন্ত মনে জল পান করে বাইসন।
অনন্যা দে