বছরের শুরুতে এই রাস্তা তৈরির দায়িত্ব নিয়েছিল জেডিএ। প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে এই রাস্তা তৈরি হবে বলে জানা গিয়েছিল। ভাঙাচোরা রাস্তা থেকে মুক্তি মিলবে শুনেই খুশি হয়েছিলেন জয়গাঁ শহরবাসী। তবে তাঁদের প্রতীক্ষার অবসান কি এত সহজেই ঘটবে উঠছে প্রশ্ন। জয়গাঁ শহরের এই এমজি রোড নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ। বিশেষ করে তিন বছর হল এই রোডের পরিস্থিতি দিন প্রতিদিন বেহাল হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: উইকিতে ২৪, অথচ কেন ২৬ মে পালিত হচ্ছে বিদ্রোহী কবির জন্মজয়ন্তী! আসল কারণ জানালেন ইতিহাসবিদ
এমজি রোড থেকে বৌবাজার ভুটান গেট পর্যন্ত প্রায় ৭০০ মিটার রাস্তায় কতগুলি যে গর্ত রয়েছে সেই হিসেব রাখা মুশকিল। ছোট, বড় গর্ত মিলিয়ে এই রাস্তা বর্তমানে মরণফাঁদ হয়েছে। এই রাস্তাটি একটি টু ওয়ে রাস্তা। এমজি রোডের সোজা চলে গেলে বৌবাজার ভুটান গেট। ডান দিক ঘুরে গেলে লিঙ্ক রোড। বৌবাজার ভুটান গেট থাকায় এমজি রোড জয়গাঁ শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রোড। বর্ষাকালে এই সড়ক দেখলে মনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। বড় বড় গর্তে জল জমে তা পুকুরের আকার নেয়। একবার সেই জলভরা গর্তে কোন গাড়ির চাকা ঢুকে গেলে সেটিকে তুলতে আসতে হয় আশেপাশের ব্যবসায়ীদের, ডেকে আনতে হয় গ্যারেজ কর্মীদের। এমজি রোডের এই ৭০০ মিটার রাস্তা তৈরি কোন দফতর করেছে তা জানা নেই এলাকার বাসিন্দাদের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রাস্তাটি পূর্ত দফতরের তৈরি, না গ্রাম পঞ্চায়েতের। অগ্যতা রাস্তা কার তার খোঁজে এসিয়ান হাইওয়ে এবং পূর্ত দফতরের কাছে ২০২৩ সালে চিঠি পাঠানো হয় জেডিএ-র তরফে। কোন সদর্থক জবাব মেলেনি কোন দফতর থেকে। তাই এই রাস্তার দায়িত্ব নিয়েছিল জেডিএ। ডিপিআর তৈরি করে রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। তবে তার মঞ্জুরি মেলেনি বলে জানা যায়। যাতে এই রাস্তা তৈরির মঞ্জুরি মেলে এই কথাটি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে গিয়েছিলেন জয়গা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। মুখ্যমন্ত্রী এক কথায় না করে দিয়েছেন রাস্তাটি তৈরীর বিষয়ে।
সম্প্রতি এই এমজি রোডে ঘটছে দুর্ঘটনা। এই রাস্তা বিভীষিকাতে পরিণত হয়েছে। কালচিনি ব্লক চেম্বার অফ কমার্সের সাধারণ সম্পাদক “আমাদের কাছে যদি অন্য কোন উপায় থাকত, তবে আমরা এই রাস্তা ব্যবহার করতাম না। কিন্তু এটি অন্যতম প্রধান রাস্তা কিছু করার নেই। রাস্তা এখন আর রাস্তা নেই।”
Annanya Dey





