আরও পড়ুন: নির্যাতিতা’রা এবার হাসপাতালেই অভিযোগ জানাতে পারবেন, চালু ওয়ানস্টপ সেন্টার
ছোট্ট শহর, প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে বেরিয়ে স্বপ্নের ডানা মেলে উড়াল দিচ্ছেন তাঁরা। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে আকাশ ছোঁয়া সাফল্যে পৌঁছচ্ছে নারীরাও। কাজের সমস্ত ক্ষেত্রেই অবাধ বিচরণ নারীদের। জলপাইগুড়ির এমনই কিছু লড়াকু নারীর লড়াইয়ের কাহিনি তুলে ধরল লোকাল ১৮ বাংলা। তাঁদের লড়াইকে কুর্নিশ জানাই আমরা।
advertisement
রাস্তায় বেরোলেই চোখে পড়ে প্রতিনিয়ত নারীদের লড়ে যাওয়ার ছবি। শুক্রবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস হলেও ওঁদের কোনও বিরতি নেই। আমাদের ক্যামেরায় উঠে এল টোটো চালক পুতুল রাউতের কথা। গত ১০ বছর ধরে টোটোর স্টিয়ারিং হাতে সংসারের হাল ধরেছেন তিনি। ভয় না পেয়ে পথে নামার সাহস জোগালেন অন্যান্য নারীদেরও। সকাল হলেই পথ ঘাট পরিস্কার করছেন মধ্য বয়স্কা মহিলা সীমা। ভোররাতের ট্রেন ধরে দুর্গা দাস সোজা হলদিবাড়ি থেকে জলপাইগুড়িতে মাছ, সবজির ঝুড়ি বোঝাই করে এসে হাজির হন। বাজারে বসে পড়েন সেই সবকিছু বিক্রি করতে। এদিকে মিনু রায় পথচলতি মানুষের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন নিজের পেট চালানোর জন্য। দিনের পর দিন এইভাবেই ঘর-সংসার সামলেই পথে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এই নারীরা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
আজ মেয়েরা পুলিশ থেকে পাইলট সব ময়দানেই পারদর্শী যোদ্ধা। তাঁদের এমন হাড়ভাঙা খাটুনি আর অস্তিত্ব বজায় রাখার লড়াই অনুপ্রেরণা জোগায় বাকিদেরকেও। শত বাধাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে কীভাবে নিজের জন্য এবং পরিজনদের জন্যে বাঁচতে হয় তা শেখায় এই নারীরা। এই বিশেষ দিনটিতে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুতুল, সীমা, দুর্গাদের সম্মাননা জানানো হল। তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার।
সুরজিৎ দে