ধান চাষিদের কাছ থেকে জানা যায়, কোথাও ধানের পাতা সাদা হয়ে গিয়েছে কোথাও আবার ধানের পাতা লাল হয়ে গিয়েছে। ফলে ধান গাছের বৃদ্ধি ঘটেনি। আবার কোন কোন জমিতে গাছের গোড়াতেই পোকা ধরে গিয়ে লাল হয়ে গিয়েছে। জমিতে চাষ করবার জন্য তাঁরা যে পরিমাণ খরচ করেছেন সেই টাকা ওঠানো যথেষ্ঠই কষ্টসাধ্য। লাভ তো অনেক দূরের প্রশ্ন। কেননা যেভাবে পোকার উৎপাত দেখা দিয়েছে ধানের উৎপাদন অর্ধেক হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
advertisement
অবশ্য দক্ষিণ দিনাজপুরের মুখ্য কৃষি আধিকারিক সমীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘এই সমস্যাটা খুব বড় আকারে দেখা দেয়নি। কিছু কিছু জায়গাতেই রোগ, পোকামাকড় হয়েছে। স্থানীয়ভাবে এর মোকাবিলা করার জন্য চাষিদের বলা হয়েছে। রোগটি নিয়ন্ত্রণের জন্য সঠিক সময়ে ছত্রাকনাশক স্প্রে করা গুরুত্বপূর্ণ। চাষিরা উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সহজেই দমন করা যাবে এই পোকার উৎপাত’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় কৃষকদের অনুমান, একটানা বৃষ্টিতে জমিতে জল জমেছে। বেশি বৃষ্টিপাতের কারণেই পোকামাকড়ের উৎপাতও বেড়েছে। পোকাগুলো পাতা মুড়িয়ে তার ভিতরের সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে। ফলে পাতা সাদা ও শুকনো দেখায়। সব মিলিয়ে বালুরঘাট, তপন, কুমারগঞ্জ, হিলি-সহ জেলার অন্য তিনটি ব্লকেও একই হাল। অপরদিকে জেলা কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই সমস্যা বড় কোনও সমস্যা নয়। কৃষকরা সচেতন হলেই সমস্যার সমাধান করা যাবে।