দু'বছর করোনার জন্য স্কুল, কলেজ সব বন্ধ থাকায় স্কুলছুট পড়ুয়াদের সংখ্যা বেড়েছে। এখন করোনার চোখ রাঙানি আর নেই। তবে প্রাথমিক স্কুলের গণ্ডিতে দেখা যাচ্ছে চারটি ক্লাসে রয়েছে মাত্র ২০-৪০ জন, আগে যেখানে মোট ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ছিল প্রতিটি ক্লাসে ১০০ জন। তেমনই জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে টেপরামানি নারায়নপুর স্টেট প্লান্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এখন জরাজীর্ণ অবস্থা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মদের পার্টিতে দেদার ফুর্তি! তারপর মন্দিরের টাকা-গয়না চুরি, গোটা ঘটনায় হতবাক হুগলি
স্কুলের চারপাশে নেই কোনও সীমানা, পরিকাঠামোও নেই বললেই চলে। না আছে স্কুলের বাচ্চাদের জন্য চেয়ার টেবিল, না আছে পড়ুয়াদের জন্য খাওয়ার কোনও সুব্যবস্থা, আর না আছে শৌচালয়। স্কুলের কোনও সংস্কারও হয় না বহুদিন ধরে এবং শিক্ষক শিক্ষিকার অভাবে ধুঁকছে স্কুলগুলি। সমস্যার শেষ এখানেই নয়।
আরও পড়ুনঃ
শিক্ষকদের অভিযোগ, রাত হলেই স্কুলের মধ্যে বসে নেশার আসর। শুধু তাই নয় বিভিন্ন ধরনের খারাপ কাজকর্মও চলে স্কুলের মধ্যেই। বহুবার প্রশাসনকে জানানোর পরেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। স্কুলের চারপাশ আবর্জনায় ভরে রয়েছে, মদের বোতলে ছেয়েছে চারদিক। স্কুলের আশপাশের পরিবেশ আর লেখাপড়ার যোগ্য নেই। এমতাবস্থায় শিক্ষক শিক্ষিকাদের আবেদন, বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর উন্নয়ন হোক। পরিবেশ যাতে শুধরোয়, সেদিকে প্রশাসন খানিক নজর দিক।
সুরজিৎ দে





