তোর্ষা, রায়ডাক, সংকোশ, কালজানি প্রতিটি নদী ভুটান পাহাড় থেকে সৃষ্ট। এছাড়াও আরও কিছু ছোট নদী রয়েছে। বছরের অন্যান্য সময় এই নদীর রূপ ভিন্ন দেখা গেলেও বর্ষায় আগ্রাসী হয়ে ওঠে নদীগুলি। বন্যা পরিস্থিতি দেখা যায় জেলার বিভিন্ন এলাকায়। ১৯৯৩ সালে ভুটানের নদীর জল প্রবেশ করে বন্যা হয় হ্যামিল্টনগঞ্জ এলাকায়। আলিপুরদুয়ার শহরেও দেখা যায় বন্যা। এখনও সামান্য বৃষ্টিতে জলে ডুবে যায় আলিপুরদুয়ার শহরের কিছু এলাকা। অথচ কেন্দ্র জানিয়ে দিল, ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশন গঠন করার কোনও পরিকল্পনা এখনও নেই।
advertisement
এই নিয়ে ক্ষুব্ধ আলিপুরদুয়ার জেলাবাসী। জন প্রতিনিধি সুমন কাঞ্জিলাল জানান, “আমরা সেই তিমিরেই থাকলাম। বন্যা হয়ে যাক আমরা সর্বস্ব হারাই, কারও কোনও মাথা ব্যথা নেই।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রিভার কমিশন তৈরি না হলে রায়ডাক, সংকোশ, তোর্ষা নদীর জলে আলিপুরদুয়ারের জায়গাগুলি ডুবে যাবে। কেন্দ্রের জলশক্তি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত কমিশন গঠনের বদলে দু’দেশের মধ্যে সমস্যা নিয়ে আলোচনা শুরু হচ্ছে। সেই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দু’দেশের মধ্যে সীমান্তবর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ‘জয়েন্ট গ্রুপ অফ এক্সপার্ট’ (জেজিই), ‘জয়েন্ট টেকনিক্যাল টিম’ (জেটিটি) এবং ‘জয়েন্ট এক্সপার্ট টিম (জেইটি)’- এই কমিটিগুলি বৈঠক করে বন্যা এবং নদীর বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করবে।